হোম » রাজনীতি » ইতিহাসে চিরস্মরণীয় নাম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম

ইতিহাসে চিরস্মরণীয় নাম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম

শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ: লাল সবুজের পতাকা কচিত ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটা আয়তনের আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে পরিপূর্ণ  রাজনৈতিক ইতিহাসে যেসব মানুষের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাদের মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি।একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং ইতিহাসের অধ্যাপক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন।রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।আ
ওয়ামী লীগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি।তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বকে পরবর্তীকালেও রাজনীতিবিদরা স্মরণ করেছেন।জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে সৈয়দ নজরুল যেমন নির্বাচিত হয়েছিলেন, তেমনি শিল্পমন্ত্রী হিসেবে বহু কলকারখানার জাতীয়করণ করেন তিনি।সুবক্তা নজরুল আমৃত্যু এক স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে এসেছেন।
১৯২৫ সালে ময়মনসিংহ জেলার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) যশোদল ইউনিয়নের বীর দামপাড়া গ্রামে একটি বাঙালি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রইস এবং মায়ের নাম বেগম নুরুন্নাহার খাতুন।কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর নামকরণ করা হয়।তিনি শৈশব কাটিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলাতেই।
১৯৫০ সালে কটিয়াদীর বনেদি পরিবারের মেয়ে বেগম নাফিসা ইসলামকে বিবাহ করেন তিনি।তাঁদের চার পুত্রের নাম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম এবং দুই কন্যা হলেন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং সৈয়দা রাফিয়া নূর।নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা ডাা.সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি একাদশ সংসদের কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।নজরুল ইসলামের পড়াশোনা শুরু হয়েছিল যশোদল মিডল ইংলিশ স্কুল থেকে।
এর কিছুদিন পরে কিশোরগঞ্জ আজিমউদ্দিন হাই স্কুলে ভর্তি হন তিনি। দু’বার স্কুল বদল করে অবশেষে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৪১ সালে দুটি বিষয়ে লেটার সহযোগে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।এত ভালো ফলাফলের পরে নজরুল আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৪৩ সালে প্রথম বিভাগে আই.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর আরও উচ্চশিক্ষা লাভ করবার আকাঙ্ক্ষায় আর ইতিহাসের প্রতি প্রবল এক আকর্ষণ থেকেই তিনি ইতিহাসে অনার্স নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
১৯৪৬ সালে অনার্স সহযোগে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।১৯৪৭ সালেই স্নাতকোত্তর স্তরে সাফল্য লাভ করেন সৈয়দ নজরুল।খেলাধূলাতেও ভীষণ উৎসাহ ছিল তাঁর।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট এবং হকি টিমের ক্যাপ্টেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।দেশ বিভাজন এবং নতুন পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তখন। সেই সময়েই নজরুল ইসলাম রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে পদার্পণ করেছিলেন বলা যায়।
১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন।বাবার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তিনি পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদে কাজ করবার জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন।১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সরকারের কর বিভাগের অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন।এক কর্মকর্তার সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে তিনি এই কাজ ছেড়ে দেন এবং আনন্দমোহন কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপনা শুরু করেন।
এই সময়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে থাকেন তিনি এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।এরপর ১৯৫৫ সালে ময়মনসিংহ বার কাউন্সিলে যোগ দেন তিনি এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় শ্রীহট্ট ভারত না বাংলাদেশ কোনদিকে পড়বে সে সমস্যার সমাধানে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়।শ্রীহট্ট যাতে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় তার জন্য প্রচার চালাতে নজরুল ইসলাম শ্রীহট্টে যান এবং সেখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। পরবর্তীকালে এই সম্পর্ক ভীষণই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করবার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যখন ১৯৫২ সালে বাংলাদেশ জুড়ে ভাষা আন্দোলন প্রকট হয়ে ওঠে তখন সর্বদলীয় অ্যাকশন কমিটির একজন সদস্য হিসেবে এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি, ফলে পাকিস্তান পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন নজরুল।১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ দলের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি।
১৯৬৬ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ছয় দফা আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং উত্তরোত্তর তার তীব্রতা বাড়তে থাকে। তখন আইয়ুব সরকার আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ১৯৬৬ সালের ৯ মে নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এবং ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলান তিনি।১৯৬৯ সালে সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলে ‘ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি’ নামের একটি সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করলে নজরুল ইসলাম সেই কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৯ সালের আইয়ুব-বিরোধী গণআন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ১৯৬৯ সালে দেশে অচলাবস্থা শুরু হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১০ থেকে ১৩ মার্চ রাওলপিণ্ডিতে সরকার-বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যে বৈঠক করেছিল, সেই বৈঠকে নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবেই যোগ দেন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মুজিবর রহমানের আইনজীবী হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নজরুল আগরতলা মামলায়। সেই প্রহসনমূলক মামলায় পাকিস্তান সরকার চেষ্টা করেছিল মুজিবকে ফাঁসি দেওয়ার কিন্তু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারের সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছিলেন নজরুল ইসলাম।১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৭ আসন থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নজরুল।যদিও নির্বাচিতদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে পুনরায় আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠে।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈঠকে নজরুল মুজিবুর রহমানের সহযোগী ছিলেন। এরপর ২৫ মার্চ যখন বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন, তখন আবার দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার পর শেষে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে যন, এবং পার্ক সার্কাস অঞ্চলের সি আই টি কলোনির বাড়িতে সপরিবারে কিছুদিন থাকেন। বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের পর দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মুজিবনগরে পালিয়ে যান তিনি এবং সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা করে এক সরকার গঠন করা হয়।
সেই মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানকে নবগঠিত সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করেছিল এবং নজরুল ইসলাম ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। তবে মুজিবুর কারাগারে বন্দী থাকার কারণে নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক হিসেবে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বদ্যিনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ গ্রহণ করেছিলেন।
অক্টোবর মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্রেজনেভ, সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন আহমেদ এবং ইন্দিরা গান্ধী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।এ বৈঠকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাশিয়ার সমর্থন আদায় করবার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর বিচক্ষণ ও প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে মাত্র নয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। সৈয়দ জাতীয়তাবাদী উদ্দেশ্যে গেরিলা মুক্তিবাহিনীর সমন্বয় সাধনের জন্য ভারত এবং অন্যান্য দেশের সমর্থন অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সৈয়দ ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান এবং ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির পুনর্গঠনের জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করেছেন তিনি।বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির উপনেতা নির্বাচিত হন তিনি এবং ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২৮ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীকালে আরেকবার জাতীয় সংসদে দলের উপনেতার পদ অলঙ্কৃত করেন নজরুল।১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ঐ বছরই ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন সৈয়দ নজরুল। সেবছরই বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি তার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও এলাকার মানুষকে তিনি ভোলেননি কখনও। নিজের অসামান্য বাগ্মীতার সাহায্যে জনগণকে সম্মোহিত করে রাখতে পারতেন সৈয়দ নজরুল।তিনি একটি গণতান্ত্রিক ও মুক্ত সমাজের আদর্শ লালন করেছিলেন নিজের হৃদয়ে, যেখানে সকল ব্যক্তি সমান সুযোগ পাবে এবং একত্রে বসবাস করবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে হত্যা করে এবং তারপরে দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়।সেসময় খোন্দকার মোশতাক আহমেদকে দেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল।আওয়ামী লীগের চার শীর্ষ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান মোশতাক আহমেদের মন্ত্রীসভায় যেগদান করতে অস্বীকার করলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করা হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বিতর্কিত ও রহস্যজনক পরিস্থিতিতে আরও তিন শীর্ষ নেতাসহ সৈয়দ নজরুল ইসলামকে জেলখানাতেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।সৈয়দ নজরুল ইসলামের মরদেহ বনানী কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তা যতদিন বহমান থাকবে, ততদিন মহান এই সূর্য সন্তানকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ রাখবে।
error: Content is protected !!