আওয়াজ অনলাইন: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বনেতাদের দ্বিমুখী আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র ভারত ও চীনও রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভূরাজনৈতিক রাজনীতি করছে। রোহিঙ্গাদের ফেরতের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকার এখনো আন্তরিক নয়। তারা বলেছিল নেবে, কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নিচ্ছে না। নতুন করে দেশটিতে সংঘাত বাড়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরতের ব্যাপারে এসব কথা বলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো সমাধান নেই।
মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে সম্প্রতি আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের নীতি হচ্ছে, আর একজন রোহিঙ্গাকেও ঢুকতে দেব না। কিন্তু সেখানে যে সংঘাত চলছে, সেই জেরে নতুন করে কেউ আসলে আমরা তো গুলি করতে পারি না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরতের ব্যাপারে শর্টকাট কোনো পথ নেই। মিয়ানমারকে বলেছি, কিন্তু সেখানেও সংঘাত চলছে। আমাদের অগ্রাধিকার তাদেরকে ফেরত পাঠানো। তারা নেবেও বলেছিল। কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নেয়নি। তারা আন্তরিক নয়।’
বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলো মানবিক দৃষ্টিতে। নিজ দেশে পরবাসি রোহিঙ্গারা আজ বিভিন্ন গোষ্ঠির হাতিয়ার হয়ে কাজ করছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় প্রায় দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করার নজির দেখা যায়। রোহিঙ্গাদের এসব অস্ত্র কারা সরবরাহ করছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল গুরুত্বপূর্ণ অভিযান অব্যাহত রাখছে।
রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাক এবং সুখে শান্তিতে বসবাস করুক এটা কাম্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রি।
আরও পড়ুন
পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের সাথে নৈশোর প্রহরীদের মত বিনিময় কালে রিফ্লেক্টিং ভেস্ট প্রদান
জাতীয় শিশু দিবসে কমিউনিটি ব্যাংকের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
টেকনাফের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ২১ মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাপছে ১৩ গ্রাম