হোম » সারাদেশ » বগুড়ার শাজাহানপুরে এইচ এসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিট করে হাত ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।

বগুড়ার শাজাহানপুরে এইচ এসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিট করে হাত ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে শারমিন আক্তার নামের(ছদ্মনাম) এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিট করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাঝিড়া মধ্যপাড়ার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম দম্পতির মেয়ে শারমিন আক্তার নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিট করে হাত ভেঙে দিয়েছেন একই এলাকার মৃত মুসলিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে রঞ্জু মিয়া (৪৫)। এ ঘটনা সাজানপুর থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় শারমিন আক্তারের মা আছিয়া বেগম ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য, ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ অক্টোবর ২০২২ আনুমানিক দুইটা ৩০ ঘটিকায়, ঘটনার বিস্তারিত জানতে গেলে জানা যায় আসিয়া বেগমের সঙ্গে একই এলাকার রঞ্জু মিয়ার পূর্বের পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে ।ঘটনার দিনে আছিয়া বেগম ও তার মেয়ে মাঝিড়া থেকে বাসায় আসার পথে রঞ্জু মিয়ার বাড়ির সামনে আসা মাত্রই আসিয়া ও তার মেয়েকে দেখে প্রতিপক্ষ রঞ্জু মীয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এক পর্যায়ে আসিয়া বেগম কথাগুলোর উত্তর দিতে গেলে রঞ্জু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে আসিয়া বেগমের মাথায় থাকা হিজাব টান দিয়ে খুলে নেয় এবং তাকে কিল ঘুসি মারতে শুরু করে।
বিষয়টি টিয়ার পেয়ে আসিয়া বেগমের মেয়ে শারমিন আক্তার তার মাকে বাঁচাতে গেলে রঞ্জু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে হাত ভেঙে দেয়। এ বিষয়ে মাঝিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে দেন এবং পরবর্তীতে কোন কোলহ যাতে না সৃষ্টি হয় এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিষেধ করেন। কিন্তু নাসরবান্দা রঞ্জু মিয়া কিছুতেই যেন মানতে চাচ্ছেন না বরাবরই তাদেরকে হুমকি-ধমকি এবং মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছেন। এমত অবস্থায় ইউপি সদস্য আসিয়া আক্তার ও তার মেয়ে শারমিন আক্তার জীবন সংকায় ভুগছেন। এদিকে বগুড়া অয়াই, এম, সি, এ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের আগামী ৬ নভেম্বর তারিখ থেকে  এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।কিন্তু হায়নাদের নিষ্ঠুরতা যেন তার জীবনকে থমকে দিতে বাধ্য করছে।
সেদিনের ঘটনায় শারমিন আক্তার তার ডান হাতে বড় ধরনের আঘাত পায়। পরবর্তীতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেখেন যে তার ডান হাতের ফ্র্যাকচার হয়েছে। এমত অবস্থায় শারমিন আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া যেন একপ্রকার অসম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শারমিন আক্তার বলে বিগত তিন বছরের যে পরিশ্রম এই হায়েনার দলেরা আমার কাছ থেকে  আমার জীবনের তিনটি বছর যেন কেড়ে নিতে যাচ্ছে এখন আমি পরীক্ষা দিব কিভাবে আমি তো কলম ধরতে পারছি না লেখা তো দূরের কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে সারমিন আক্তার। এ বিষয়ে এলাকার লোকজনদের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনাটি সত্যতা বলে বর্ণনা করেন। সবশেষে এইচএসসি পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তারের সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দেওয়া এবং পরিবারের সুরক্ষা চেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে তারা আকুল আবেদন জানিয়েছেন শারমিন আক্তার এর পরিবারের লোকজন।
error: Content is protected !!