হোম » সারাদেশ » তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০সেন্টিমিটার নিচে

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০সেন্টিমিটার নিচে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে আর লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন না। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২মিটার। যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ৬০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ভোর থেকে পানি কমে বিপদসীমার নিচে থাকলেও বিকাল ৩টার পর থেকেই বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ এবার আর বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছেন না। পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার পানিবন্দি পরিবারগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছেন। ইতিপূর্বে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউপির কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে ছিলেন। যা দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছেন।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় আর বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছিল। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে।
এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.৪০মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ৬৯সেন্টিমিটার নিচে।  লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী ইউনিয়ন ধরলা নদীর বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে রাস্তাঘাট, হুমকির মুখে পড়েছিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ইতিপূর্বে ভেঙ্গে গেছে বাড়ী-ঘর।
অপরদিকে রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানিও কমতে শুরু করেছে।
error: Content is protected !!