টঙ্গী প্রতিনিধি: টঙ্গীতে প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর পর আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা শাখা আওয়ামী লীগের ২০২২ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনে পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অনেকেই। তাদেরই মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য মোঃ নূরুল ইসলাম নূরুকে যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে মনে করেন নগরবাসী।
দলীয় নেতৃবৃন্দ জানান, কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু নিজেকে জনপ্রতিনিধির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনেও তিনি নানামুখী অবদান রেখেছেন। শৈশবকাল থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায় ছিলেন পারদর্শী। তিনি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। নম্র ভদ্র এই পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্টির পাশে দাঁড়ানো একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব, দক্ষ সংগঠক ও নেতা-কর্মীদের কাছে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিত্বও বটে। তাই তিনি হয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিনিধি।
এলাকায় সন্ত্রাস মাদক ইভটিজিংসহ সামাজিক অপরাধ বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। এছাড়াও জনদূভোর্গকালীন শীতার্ত বন্যার্তদের সহযোগিতাসহ মহামারী করোনাকালে নিজের জীবনকে বাজী রেখে এলাকার সর্বসাধারণের জীবন রক্ষার্থে বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তারা আরও জানান, নূরুল ইসলাম নূরু এ পর্যন্ত যে সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন, গোছানো পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে সেই সংগঠনকেই গড়ে তুলেছেন। দেখিয়েছেন সাংগঠনিক দক্ষতা। নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ এশিয়া গেমসে মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হওয়া বাংলাদেশ মহিলা দলের সহকারি টিম লিডার হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি।
নূরুল ইসলাম নূরুর মতো একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ সংগঠনিক ব্যক্তি যদি টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। তাহলে সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতিশীল আরও অনেক বাড়বে। তার অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ড বিশ্লেষন করলে দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাকে এ পদে অধিষ্ঠিত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা। এ ব্যাপারে নূরুল ইসলাম নূরু বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকার প্রধানের নির্দেশনা পালনে সর্বদা সচেষ্টা থাকি। আমার কর্ম দক্ষতা দেখে এলাকার সর্বসাধারণ আমাকে কয়েকবারই কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে যোগ্য মনে করে টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন, তাহলে আমি আমার আন্তরিকতার সাথে অভিজ্ঞতার প্রজ্ঞা দিয়ে সংগঠনটিকে ঢেলে সাজাবো। আমি আজীবন দলের জন্য কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো। এ সময় সকলের কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
কন্যাশিশু ও যুব নারীদের উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, ও নেতৃত্ব বিকাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন
ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ বাস কোম্পানিকে জরিমান
আওয়ামী লীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন