মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নেটদুনিয়ায় ঘুরছে এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মানুষের পিটে চড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে করছেন এক ছবি।
সাড়া ফেলে দিয়েছে ভীষণ খারাপ ভঙ্গিমা হ্নদয়বিদারক মাখানো এই ছবিটি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির পিটে চড়ে পরিদর্শনে গেলেন মহেশখালী উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ কুমার রায়। এবং আর তার গলা জড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি শিশুর মত মুখে অট্টহাসি রেখে উপ-সহকারী প্রকৌশলী। আর এটি কোন বিয়ের অনুষ্টানে কাঁদামাটি পেরিয়ে নতুন বরকে পিটে চড়ে বিয়ে অনুষ্টানে শাশুর বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার ছবির গল্পও নই।
বাস্তব হলেও সত্যা যে ঘটনাটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে অতিবৃষ্টির পাহাড়ি ঢলে হোয়ানক বড় ছড়া-শাপলাপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, ভেঙ্গে গেছে রাস্তাঘাট চলাচলের পথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ফসলি জমি।
গতকাল (শনিবার) উপজেলার হোয়ানকের বড়ছড়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মানুষের পিটে চড়ে পরিদর্শনে গেলেন মহেশখালী উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ কুমার রায়।
এসময় তাকে এক ব্যক্তির পিটে চড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যায়। কাঁদা পানিতে তাকে পিটে তুলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ঘুরে দেখান ওই ব্যক্তি, এসময় সাথে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আশেক মাহমুদসহ স্থানিয় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে মানুষের পিটে চড়ে এলাকা পরির্দশন করেন ছবিটি মিড়িয়া পাড়া নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক সাধারণ মানুষ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এই বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ কুমার রায়ের মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে চাইলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মহেশখালীর প্রধান সড়ক, হোয়ানক বড়ছড়া, শাপলাপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মারমা এবং মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাউসার আহমেদ। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা দেন।
আরও পড়ুন
নলডাঙ্গায় কনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন
সিরাজগঞ্জ সদরে রিয়াজ, কাজিপুরে খলিল ও বেলকুচিতে আমিনুল চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী
ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীতে হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভোট