হোম » অন্যান্য বিভাগ » দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

আওয়াজ অনলাইন: তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশের প্রায় সবক’টি বিভাগের জনজীবন। একাধিক জেলায় বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন খেটে খাওয়া মানুষ, হাসপাতালে বেড়েছে রোগী। 

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে জনজীবন। সূর্য ওঠার পরপরই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। সারাদেশই পড়েছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য বলছে, জুনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকছে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা তাপদাহের প্রভাবে প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না অনেকেই। রাস্তায় কমেছে সাধারণ মানুষের চলাচল।

নীলফামারী ও সিরাজগঞ্জের বাসিন্দারা জানান, গরমে কাজকর্ম করা যাচ্ছেনা, কঠিন তাপ। বুক জ্বলে, জ্বর আসে। এক দোকানদার বলেন, যে গরম তাতে ক্রেতারা বের হচ্ছেনা, কোনো বেচাকেনা নেই।

ডাব, আখের রস, ঠাণ্ডা শরবত বিক্রির দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। বেড়েছে হাতপাখা বিক্রি। পুকুর, দীঘি, খালের ঠাণ্ডা পানিতেই আশ্রয় খুঁজছে দস্যিছেলের দল।

একটুখানি স্বস্তি পেতে ছায়া খুঁজে নিচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তারপর আবারও ছুটছেন জীবিকার তাগিদে।

তীব্র গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।

রোগীর স্বজনরা জানান, গরমে বমি করছে, কেঁপে কেঁপে জ্বর আসছে।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, “শুধুমাত্র সর্দি-কাশি হলে প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে।”

কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। গ্রামে গ্রামে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করছেন মানুষ।

বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রচলিত রীতিতে গায়ে হলুদ শেষে রঙিন কাপড় পরিয়ে যথারীতি কাবিন করে বিয়ে দেয়া হয়েছে মেঘ ও বৃষ্টির। ব্যাঙ দম্পতিকে নানা উপহারও দিয়েছেন নিমন্ত্রিতরা।

দেশে গত মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৪ ভাগ কম বৃষ্টি হয়েছে। চলতি জুন মাসেও কম বৃষ্টি হতে পারে বলে পুর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

error: Content is protected !!