হোম » গণমাধ্যম » জামালপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকসহ আহত-১৫

জামালপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকসহ আহত-১৫

রবিউল হাসান লায়ন : জামালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৬টি প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর ও ৩টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে ম্যাজিস্ট্রেট ও  ৫ সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। একই সময় স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ২ সমর্থককে আটক করে পুলিশ।
বুধবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পূর্ব বাজারের গোলাম আলী মার্কেটে, খড়খড়িয়া এলাকায় এবং মহেশপুর কালিবাড়ীসহ জামালপুর- ৫ সদর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর ৬টি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
মহেশপুর কালিবাড়ীতে আরও নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর শেষে তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে নৌকার সমর্থকরা। হামলায় ঈগলের সমর্থক খোকা, দুদু, শফিক, ইয়ার আলী, দিলবাহার নামে এক নারী পথচারীসহ প্রায় ১০ আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঈগলের সমর্থকরা প্রায় দুই ঘন্টা জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় পুলিশ ও র‌্যাবের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে।
এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান ফকির। এছাড়াও ৫ জন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন ঈগলের সমর্থক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে। আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীরের সাথে যোগাযোগ করলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর অভিযোগ, নৌকার সমর্থকরা ঈগলের প্রচার কেন্দ্রে সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় ঈগলের ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ৩টি মোরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। নৌকার নিশ্চিত ভরাডুবি  জেনে তারা হামলা করে বলেও অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনু।
error: Content is protected !!