দাগনভূঞা উপজেলা প্রতিনিধি: দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের সাবেক সভাপতি রাশেদ (ভিপি রাশেদ) এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যাবসায়ী, এনায়েতভূঞা ঈদগাহের গাছ কেটে বিক্রি, মানুষের টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ উঠেছে। ৫ নং ইয়াকুবপুর ইউনিয়নে অবৈধ কৃষি জমির মাটি বিক্রির সিন্ডিকেট, এনায়েতভূঞা বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে মাদক, ইয়াবা, গাঁজাসহ নারী সংগঠিত অনেক অভিযোগ উঠে এসেছে। তার সন্ত্রাসী আচরণের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে রবিবার স্থানীয় এক গরু ব্যাবসায়ীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধরের হুমকি প্রদান করেন ও গালিগালাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি দাগনভূঞা থানায় অভিযোগ করলে গত ৮ মে রবিবার সন্ত্রাসী রাশেদকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মন্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ১২ দিন পর জামিনে এসে প্রকাশ্য লাইভে এসে প্রথম নিউজকারি সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ মালদারকে বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান, অশোভন আচরণ, জীবন নাশের হুমকিসহ কুটক্তিভাষা ব্যাবহার করে। এবং যারা যারা এ নিউজ করেছেন তাদেরকেও একই রকম আচরণ করেন। সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য বলেন আমি ভিপি রাশেদকে আপনারা চিনেননা! আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকে জমা খরচ দিয়ে চলিনা। প্রয়োজনে আবার জেলে যাবো, রাজনীতি করলে জেলে যায় তাতে কিছু যায় আসেনা। বড় বড় নেতারাও জেলে যায়।
জামিনে এসে ব্যক্তিগত পেজবুক পেজে লাইভে হুমকি ও অশোভন আচরণ ও সাংবাদিকদের হুমকি দানে দাগনভূঞা ও ফেনীর সাংবাদিকগন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সরকার দলের পদ হারানো একজন কর্মীর প্রকাশ্য সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি আলি মূর্তজাসহ কয়েক ব্যক্তিকে গালমন্দ ও হুমকি প্রদানে রাজনীতির দূর্ণাম হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। তার এমন বক্তব্য তীব্র নিন্দা জানান দাগনভূঞা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকগন।
এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক আরটিভি ও যায়যায়দিন ফেনী প্রতিনিধি, ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালদার জানান, এনায়েতভূঞা ঈদগাহর মত পবিত্র জায়গায় তার আধিপত্য বিস্তার করে জনগনকে জিন্মি করে অর্থ আদায় করলেও কেউ মাথা গামায়না। কিন্ত দুধমুখার এক ব্যাবসায়ীর নিকট চাঁদা আদায় মামলা হলে সন্ত্রাসী রাশেদ গ্রেফতার হয় এবং অসংখ্য স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিউজ হয়। গত পরশু জামিনে বের হয়ে আজ রবিবার লাইভে এসে মিথ্যা বানোয়াট, অত্যন্ত খারাপ আচরণ, গালিগালাজ, সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য হুমকি দেয়। শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নিবেন বলে তিনি জানান। এছাড়া তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান। এ বিষয়ে ফেনী ২ আসনের মাননীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন সাহেবের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
৫নং ইযাকুবপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আলী মূর্তজা বলেন, মাদকসেবী ও বিক্রেতা, কৃষি জমির মাটি বিক্রির মুল হোতা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাশেদ এর অপকর্মের বিরোধীতা করলে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শণ করে। আজ তার পেজবুক আইডিতে লাইভে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার মানসিকতা অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন
কন্যাশিশু ও যুব নারীদের উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, ও নেতৃত্ব বিকাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন
ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ বাস কোম্পানিকে জরিমান
আওয়ামী লীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন