এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া সদর উপজেলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর ও তার সোর্সকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩১-ই অক্টোবর (রোববার) মধ্যরাতে এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তাজমিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরের ছোট কুমিড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. নাসিম। তিনি সদর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী শহর উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই)। তাকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। আরেকজন হলেন আব্দুল মান্নান। তিনি এটিএসআই নাসিমের সোর্স। তিনি সাবেক পুলিশ সদস্য। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এবং লাঠিসোটা দিয়েও পিটানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা নাসিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও সোর্স মান্নানকে আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাম গালে ছুরিকাঘাত ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ছোট কুমিড়া এলাকা থেকে ২৯ বছর বয়সী চাম্পা বেগম নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, চাম্পার কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তাজমিলুর রহমান বলেন, চাম্পার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার স্বামী শয়ন শেখ ও ভাই স্বপনকে গ্রেফতার করতে সদর ফাঁড়ির একটি টিম ছোট কুমিড়া এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় আসামীর স্বজনদের হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্য নাসিম ও সোর্স মান্নান। পরে খবর পেয়ে সদর থানার আরেকটি টিম গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন
শ্যামনগরে পথচারীদের মাঝে পানি বিতরণ করলেন সিডিও ইয়ুথ টিম
সাদা মনের মানুষ খ্যাত শামসুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ না করেও পরিচয়ে নিচ্ছেন সুবিধা, বনে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
জন্মান্ধ করল ২শতাধিক ঘরের ইলেকট্রিক কাজ, রিপনের অন্ধত্ব জয়ের গল্প