হোম » সারাদেশ » রংপুরে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স আত্মসমর্পণকারী অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ী পুরনো পেশায়

রংপুরে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স আত্মসমর্পণকারী অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ী পুরনো পেশায়

রংপুরে পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছে ।মাদক কারবারী ও সেবনকারী কাওকেই ছাড় দেয়া হবেনা। গত শনিবার মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার চৌকস পুলিশ অফিসার পিয়ারুল ইসলাম মাদক কারবারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হলে পুলিশের মাঝে তোলপার শুরু হয়। এই উদীয়মান অফিসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর সাহেব গঞ্জ এলাকায় কূ-খ্যাত মাদক কারবারী পলাশ কে আটক করতে গিয়ে ছুরিকাহত হন।পলাশ তার বুকে ও শরীরের ভিন্ন স্থানে ছুরি চালিয়ে গুরুতর জখম করে।

তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে অস্ত্রপাচার শেষে আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যূ হয়। এতে পুলিশ সদস্য সহ সাধারন মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।মাদককারবারীদের দৌরত্ব দেখে সবাই হতবাক হয়ে যান।তাই এদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করায় পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ ঞ্জাপন করেছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।মাদকের বিস্তার রোধ ও নির্মূলে পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ কে সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছে। জানাগেছে,গত ২০১৮ সালে রংপুর বিভাগে মাদক ব্যবসায়ীদের সাধারণ জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিয়ে আত্মসমর্পণের আহব্বান জানানো হয়।

পুলিশ প্রশাসনের ওই আহব্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সময়ে এই বিভাগের ৮ জেলায় প্রায় ৩ হাজার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গিকার করেন। এদের কেউ কেউ অঙ্গিকার রক্ষা করে মাদক ছেড়ে অন্য ব্যবসায় গেলেও অনেকেইপুরনো ব্যবসা ছাড়তে পারেনি। ফলে মাদকের নিরাপদ রুটগুলো নিরাপদই রয়ে গেছে। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন হওয়ার আগে রংপুরের হারাগাছ ছিল মাদক কেনা বেচার একটি বৃহত্তর রুট।

প্রতিদিন শত শত মোটরসাইকেল আরোহী হারাগাছে যেত মাদক সেবনের জন্য। এখানে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সে সময় পুলিশ বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনকরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।এর ফলে তখন হারাগাছে মাদক ব্যবসায় ভাটা পড়ে। ২০১৮ সেপ্টেম্বরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হলে হারাগাছ মেট্রোপলিটনের অধীনে চলে আসে।

হারাগাছে আগের মত রমরমা মাদক ব্যবসা না থাকলেও চিহ্নিত কিছু মাদক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ওইসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী এতই বেপরোয়া যে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হত্যা করতেও ছাড়ছে না। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া ) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

error: Content is protected !!