হোম » সারাদেশ » জামালপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রীরা

জামালপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রীরা

রবিউল হাসান লায়ন : জামালপুরে পুলিশের যত্রতত্র মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ রোববার (১৯ মে) সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালক করছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই পুলিশ -সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকদের মধ্য মামলা নিয়ে অসন্তোষ চলে আসছে। গত শনিবার (১৮ মে) জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৬৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে মামলা দেয় পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই মামলা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে আজ সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করেছেন অটোরিকশার চালকরা। হঠাৎ এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
জামালপুর শহরের ৫টি পয়েন্ট থেকে জেলা ৭ উপজেলাসহ ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও কুড়িগ্রামের রৌমারী রাজিবপুরগামী প্রায় ২ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে। কিন্তু কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়া এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সাধারন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীরা বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে। শহরের ভোকেশনাল মোড়, গেইটপাড়, শেখেরভিটা, মির্জাআজম চত্বর স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, কোন স্ট্যান্ডে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নেই। আর যে কয়েকটা আছে সেগুলো কোন যাত্রী পরিবহন করছে না। তাই অনেক যাত্রী এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে। বিকল্প উপায়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক আসলাম আলী খান জানান, সাধারন চালকদের উপর পুলিশি হয়রানি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। তারা ইচ্ছেমত মামলা ও জরিমানা করছে। তাই নিরুপায় হয়েই এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
চালক মনু মিয়া জানান, আমাদের উপর পুলিশি হয়রানি যে পযর্ন্ত বন্ধ না হবে আমারা কোন চালক গাড়ি চালাবো না। একটা মামলা দিলে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। আর এ রকম মামলা প্রায় দিচ্ছে। তাই এই অবস্থার কোন সমাধান না হওয়া পযর্ন্ত আমরা গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আতিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়া এমন ধর্মঘটে সাধারন যাত্রীদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌছেছে। সকাল থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য বসে আছি কিন্তু কোন সিএনজি (সিএনজি চালিত অটোরিকশা) যাচ্ছে না। এখন কিভাবে ময়মনসিংহ যাবো বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন- দেখা যাবে দুইদিন পরে পুলিশ ও এসব শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা এক হয়ে যাবে, সব কিছি স্বাভাবিকও হয়েছে। কিন্তু সব ভোগান্তি যাচ্ছে আমাদের মত সাধারন যাত্রীদের উপর দিয়ে।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি সোহেল মাহমুদ জানান, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বিভিন্ন অনিয়মে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। অযথা কাউকে হয়রানি করা হয়নি। কোনো পুলিশ ব্যক্তিগতভাবে অনিয়ম করলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

error: Content is protected !!