হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রীর ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রীর ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও এটিএন বাংলা এবং এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি ফেরদৌস হাসানের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং তার স্ত্রী বেলকুচি পৌরসভা মেয়র আশানূর বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রথম সাব জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানীর জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য্য করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট নাসিম হায়দার হাকিম জানান, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বেলকুচি পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস যৌথভাবে বাদী হয়ে মামলাটি আদালতে দাখিল করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক আজ মঙ্গলবার আমলে নিয়ে শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ১নং বাদী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বার বার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুবার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। অপর বাদী আশানুর বিশ্বাসও বার বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমানে পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিবাদী ফেরদৌস হাসান বাদী দম্পতিকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তার কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসার এলাকা জবরদখলমুক্ত করা প্রসঙ্গে ২৯ জুলাই বাদীদ্বয়কে লিখিত নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয় বাদীদ্বয় তাদের জামাতার ছোট ভাই সাজ্জাদুল হক রেজাকে দিয়ে বেলকুচি পৌর এলাকার কেবল নেটওয়ার্ক লাইন জবর দখল করে প্রায় ১ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে মাসিক দেড় লক্ষ টাকা করে ৭০ মাসে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা আদায় করেছেন। ওই টাকা ফেরতের জন্য এবং ব্যবসায়ী এলাকা দখলমুক্ত করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বাদীগণকে নোটিশ প্রদান করেছেন ফেরদৌস হাসান।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে বাদীদের সাথে তাদের পূত্রা সাজ্জাদুল হক রেজার কোন ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিষয়টি জানার পরও বাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রদান করে সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করেছেন। নোটিশ পাওয়ার পর বাদীদ্বয় তাদের আইনজীবির মাধ্যমে ওই নোটিশের জবাব এবং পাল্টা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও বিবাদী ফেরদৌস হাসান তার কোন জবাব না দেয়ায় ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে সাংবাদিক ফেরদৌস হাসান বলেন, আমি আমার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবসায়িক প্যাডে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও পৌর মেয়র আশানূর বিশ্বাসকে একটি চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি জনসমক্ষে উত্থাপিত হয়নি। এতে তাদের মানহানি কিভাবে হলো বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। (ছবিসহ)

error: Content is protected !!