হোম » প্রধান সংবাদ » ঈদগাঁও নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

ঈদগাঁও নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

মোঃ রফিক উদ্দিন লিটন,ঈদগাঁও :: কক্সবাজারে ঈদগাঁও নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে বাজারের ব্যবসায়ীরা। এসব ময়লা-আবর্জনা মেশায় পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। নদী দূষণের কারণে দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়ছে স্হানীয় এলাকাবাসী। জানা যায়, ঈদগাঁও বাজারের সুপারির গলির ভেতরে গোসলের ঘাট নামক এলাকায় ঈদগাঁও নদী ময়লা-আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশের কারণে নদীর তীরে মানুষজন যেতে পারছে না।ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে নদী তীরে বসবাসরত মানুষ ও পথচারীরা।

পরিত্যাক্ত ময়লা-আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা -মাছি। ময়লা পানিতে মেশার কারণে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসি। মূলত ঈদগাঁও বাজার – স্টেশনে নিজস্ব আবর্জনা ফেলার স্থান না থাকায় প্রতিনিয়ত নদীর তীরে ময়লা ফেলছেন সচেতন-অসচেতন সবাই।

অথচ ঈদগাঁও নদীর পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য জনবসতি। তারা গোসল ও প্রয়োজনীয় কাজকর্মে নদীর পানি ব্যবহার করে থাকেন। এই নদীতে ময়লা আবজর্না ফেলায় নদীর পানি দুর্ষিত হচ্ছে। লোকজনকে চরমভাবে কষ্ট পেতে হচ্ছে।

ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নদীর তীর যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নদীর তীরবর্তী বসবাসরত এলাকাবাসীসহ যাত্রীদের।
 
এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে মশা-মাছি উড়ে গিয়ে বিভিন্ন খাবারের উপর বসায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্হানীরা। কিন্তু বাজারের ফেলা ময়লা-আবর্জনার গন্ধে ৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকাও এখন কষ্টকর।তাই ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
 
উল্লেখ্য,প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ গোসল করেন উক্ত নদীতে। এছাড়া নৌকায় করে প্রতিদিন ২-৩ হাজার মানুষ নদী পারাপার করে।
error: Content is protected !!