জে এম মমিন: তিন সন্তানের জননী। ষাটোর্ধ বয়সের বৃদ্ধা বিবি হনুফা। স্বামী আব্দুল খালেক বয়সের ভারে তেমন কাজ করতে পারেন না। পৌর ৪নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা। একমাত্র ছেলে চট্রগ্রামে রিকসা চালায়। সে ও তেমন একটা খবর রাখতে পারে না। প্রায় ২ যুগ অন্যের জমিতে বসবাস। জরাজীর্ণ একটি ঘরে জীবন যাপন।
অনেকটা কবি জসিম উদ্দিন এর আসমানীদের জীবন। নিয়তির সাথে চলছে প্রতিনিয়ত জীবনের যুদ্ধ। তার ঘরের এ অবস্থা প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।দৃষ্টিতে আসে বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য জীবন মাহমুদের।
![](https://i0.wp.com/gonomanusherawaj.com/wp-content/uploads/2023/01/1674720326115-1.jpg?resize=300%2C234&ssl=1)
তিনি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন।আশ্বাস দেন গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার। তার চেষ্টা ও পুলিশের অন্যান্যদের সহায়তায় অবশেষে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে ১৬ ফুট টিনসেট ঘরটি নির্মাণ করেন।
এতে ভালো মানের টিন ব্যবহার করা হয়। দু চালা ঘরে থাকার জন্য একটি চৌকি প্রদান করা হয়েছে। নতুন ঘর পেয়ে অনেক খুশি দম্পতি।
গতকাল বুধবার বিকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে জীবন মাহমুদ নির্মিতব্য নতুন ঘরের চাবি তুলে দেন হনুফা ও তার স্বামীর হাতে। নতুন ঘর পেয়ে হনুফা দম্পতি মহান রবেব কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শীতকালে কুয়াশা আর বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি ঘরে পরতো।
বর্ষা কালে এখন শান্তিতে থাকতে পারবো।আগে বাইরে বৃষ্টি হওয়ার আগে আমার ঘরের মধ্যে বৃষ্টি পরতো।বর্ষায় খুবই কষ্ট হতো।তারা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইমাম মাওলানা ইউছুব হোসেন আসলামী বলেন,বর্তমান সমাজে আমরা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি।অন্যের দুঃখ কষ্ট দেখার বা বুঝার মানুষের খুবই অভাব।
এ ভালো কাজটি করার জন্য তিনি পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্য জীবন মাহমুদকে ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ বাহিনী সদস্য জীবন মাহমুদ বলেন,পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় তিনি অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।তিনি সমাজের বৃত্তবানের মানব সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আরও পড়ুন
আমার দেখা চেন্নাই ও বাঙালির চিতাই পিঠা
প্রাক্তন স্বামীকে ৩৭ বছর পর নিজের বৃদ্ধাশ্রমে !
উল্লাপাড়ায় যানবাহনে চাঁদাবাজি-আটক এক