হোম » Uncategorized » হাসপাতালে ভর্তি থেকে বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রী খুনের দায়ে গ্রেপ্তার স্বামী

হাসপাতালে ভর্তি থেকে বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রী খুনের দায়ে গ্রেপ্তার স্বামী

হুময়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : হাসপাতালে ভর্তি থেকে বন্ধুদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট সড়ক দুর্ঘটনায় নিজের স্ত্রীকে খুন করালেন এক পাষন্ড স্বামী। যৌতুক না পেয়ে কৌশলে এমন কান্ড ঘটিয়ে অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। ঘটনাটি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ারধানগড়া (সর্দারপাড়া) গ্রামের।

ভিকটিম একই গ্রামের কালাম শেখের মেয়ে কামরুন নাহার কেয়া (১৯)। আর স্ত্রী খুনের দায়ে শশুড়ের মামলায় আসামী হন একই গ্রামের তানভীর শেখ বাপ্পী (২২)। তিনি পরিবহন নেতা দুলাল শেখ ওরফে দুলু শেখের ছেলে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে তিনি। বুধবার সকালের কথিত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কেয়াকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিতে আসা বাপ্প্রি তিন বন্ধুও এ মামলার সন্দেহভাজন আসামী।

হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্ধিগ্ধ আসামী হন তারা। মামলা দায়েরের পর তাদেরও খুঁজছে পুলিশ। দুর্ঘটনার একদিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি হন বাপ্পী। ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আতœহত্যার চেষ্টায় বাপ্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার নিকট স্বজনরা। সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিকটিমের বাবার পক্ষ্য থেকে মামলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেবার পর বাপ্পীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এনে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে কথিত দুর্ঘটনার পর কে বা কারা ভিকটিম কেয়াকে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পথে মারা যায় কেয়া। বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।

রহস্য উদ্ঘাটন বা আসামীরাও গ্রেপ্তার হবে।’ এদিকে, ভিকটিমের বাবা কালাম শেখ বলেন, ‘গত বছরের এপ্রিল মাসে একই গ্রামের দুলাল শেখ দুলুর ছেলে তানভীর শেখ বাপ্পীর সাথে বিয়ে হয় কেয়ার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে বাপ্পী ও তার স্বজনরা। যৌতুক দিতে না পারায় কেয়ার উপর নির্যাতন চালায় শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। গত দুমাস পর মেয়ে নিজে থেকেই বাড়িতে চলে আসে। কেয়া ইন্টারমেডিয়েটও পাস করেছে।

বাপ্পীই বুধবার সকালে তার বন্ধুদের দিয়ে কেয়াকে কৌশলে ডেকে খুন করে। তারা দুর্ঘটনা দেখিয়ে কেয়াকে হাসপাতালে ফেলে চলে যায়।’ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালের সিসিটিভ ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরএমও ডা: ফরিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর কোন রোগী যদি কৌশলে সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়লে তার দায়ভার তার নিজেরই। অপরাধী হলে পুলিশ তদন্তে তা অবস্যই খুঁজে দেখবে।’ এদিকে, পরিবহন নেতা দুলাল শেখ বলেন, ‘ছেলের সাথে গত এক বছর থেকে সম্পর্ক না থাকলেও মেয়ে পক্ষ্য মিথ্যে যৌতুকের অপরাধ দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে।

Loading

error: Content is protected !!