হোম » ধর্ম » মির্জাগঞ্জে ২০ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব, ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

মির্জাগঞ্জে ২০ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব, ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

এস কে মিন্টু, মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি: আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠির মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।
এবার দেবী আসবেন এবং ফিরে যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। এবছর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। গত বছর ১৬ টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার গত বছরের চেয়ে ৪ টি পূজা মণ্ডপ বেশি।
এ উৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মৃৎশিল্পীরা। নানান রঙ আর তুলির আঁচরে শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমাকে সাজানো হচ্ছে অপরূপ রূপে। দিনরাত রঙের আঁচড় আর মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত তারা। সেই সাথে চলছে পূজা মণ্ডপগুলোতে বাহারি সাজসজ্জার কাজ। মৃৎশিল্পীরা জানান, এক-একটি মণ্ডপে চার-পাঁচজন কারিগর মিলে প্রতিমা তৈরির কাজ করছে। আগামী ১৯ অক্টোবর পঞ্চমী।
পঞ্চমীর রাতের আগেই প্রতিমার সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই রাত জেগে কাজ করতে হয় তাদের। তারা আরও জানান, বংশ পরম্পরায় এ পেশায় জড়িত আছেন তারা। বাপ দাদার কাছ থেকে শেখা কাদা মাটি আর খড় দিয়ে কিভাবে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হয়।
বছরের এই সময়ে কাজের চাপ বেশি তাই রাত দিন পরিশ্রম করে মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিমা তৈরি করছে। একজন মৃৎশিল্পী একাধিক মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছে। এক সেট প্রতিমা তৈরি করতে তাদের সময় লাগে ১ সপ্তাহ থেকে ২ সপ্তাহ। আয়োজকরা জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরপরও থেমে নেই তাদের আয়োজন।
রকমারী আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে পুজা মন্ডপ ও তার আশপাশ এলাকা। সব মিলে উৎসবের রংয়ে সাজছে মির্জাগঞ্জ উপজেলা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বাবুল কর্মকার (কালু) বলেন, এবার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের তুলনায় এবার পূজা আরো জাঁকজমকপূর্ণ হবে। এ জন্য মন্দিরের বিভিন্ন সাজসজ্জার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, দুর্গা পূজাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশসহ আনসার সদস্যরা ডিউটিতে থাকবে। এছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে।

Loading

error: Content is protected !!