জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনে জেলা জাপার সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইলিয়াছ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হক মনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলে দলের তরফ থেকে দুজনকেই প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়। সে মোতাবেক দুজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু বাছাইকালে ব্যাংক ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপির দায়ে ইলিয়াছ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
বাছাইয়ে অপর প্রার্থী মাহমুদুল হক মনি বৈধ হওয়ায় এবং দলের চিঠির সুবাদে তাকে লাঙল প্রতীক বরাদ্দ দেয় রিটার্নিং অফিস। সে অনুযায়ী দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্র উদ্বোধনসহ প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টারিং করেন মাহমুদুল হক মনি। কিন্তু দীর্ঘ লড়াই করে অবশেষে গত ২১ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পান ইলিয়াছ উদ্দিন। তবে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা। সে জটিলতা এখনও কাটেনি।
এরই মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলের দায়িত্বে থেকেই সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপা প্রার্থী মনিকে বর্জন ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন জানান ইলিয়াছ।
অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর-১ আসনে জাপা মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহমুদুল হক মনি জানান, অব্যাহতি পাওয়া জেলা জাপার সভাপতি মো. ইলিয়াছ উদ্দিন শুরু থেকেই আমাকে অসহযোগিতা করে আসছিলেন।
সোমবার বিকেলে শহরের রঘুনাথবাজারস্থ ইলিয়াছ প্লাজায় তার উদ্যোগে স্থানীয় দলীয় কিছু নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি আমাকে বর্জন ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেন।
বিষয়টি দলের গুরুতর শৃঙ্খলা পরিপন্থী হওয়ায় দল তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে তার ওই যোগদানে লাঙল প্রতীকের নির্বাচনে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন
সকল দলের মানুষের সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই- অধ্যক্ষ সইদুল হক
শেরপুরে গরু চোর চাক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে নকল ‘হান্ডি রেষ্টুরেন্ট’, থানায় মূল মালিকের অভিযোগ