হোম » অন্যান্য বিভাগ » ‘মিথ্যা ও বিকৃত’ সংবাদ পরিবেশনকারীর বিচারের দাবিতে কুবিতে মানববন্ধন

‘মিথ্যা ও বিকৃত’ সংবাদ পরিবেশনকারীর বিচারের দাবিতে কুবিতে মানববন্ধন

সজীব আহম্মেদ রিমন, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘মিথ্যা ও বিকৃত সংবাদ’ পরিবেশনকারী হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপ। 
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম সায়েম বলেন, ‘যেখানে অন্যায় হবে সেখানে আমি দাঁড়াবো। যদি মনে হয় জামাত শিবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সেখানে আন্দোলন গড়ে তুলবো। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে উপাচার্য স্যারের বক্তব্য শুনে আমার মনে হয়নি তিনি এখানে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। বরং কিছু হলুদ সাংবাদিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে বিকৃতভাবে এটি প্রচার করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা মো. ইকবাল হাসান খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে কাঙ্খিত মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল উপাচার্য স্যারের পুরো বক্তব্যের সামান্য অংশ কোট করে বিতর্কের সৃষ্টি করছে। আমরা এখানে যারা দাঁড়িয়েছি তারা সবাই সাংবাদিকতার পক্ষে কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতার বিপক্ষে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ম. রকিবুল হাসান রকি বলেন, সেই সাংবাদিক ইচ্ছাকৃতভাবে উপাচার্য স্যারের ৫১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের বক্তব্য থেকে মাত্র ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের বক্তব্য ভাইরাল করেছে। এতে বোঝা যায় বাকি ৪৯ মিনিটের ভিডিও কেটে দিয়ে সে উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করছে৷ সাথে সরকার বিরোধী যে ষড়যন্ত্র তাতে লিপ্ত হয়েছে। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবো তদন্ত সাপেক্ষে ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নতুন কমিটির পদপ্রত্যাশী রেজা-ই-এলাহী বলেন, ‘বিকৃতভাবে সংবাদ প্রচার করে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রলীগসহ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকেও তারা রেহাই দেয় নি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তি উপাচার্য মহোদয়কে নিয়েও তারা মিথ্যা নিউজ করতে দেরি করে নাই, তাহলে বুঝতে হবে তাদের উদ্দেশ্য কী এবং তা কতটা ভয়ানক।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে, তাদের ছাত্রদল ছাত্রশিবির প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উৎসাহ দিচ্ছে। তাহলে আমাদের বুঝতে বাকি নাই যে ওদের উদ্দেশ্য কী। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যারা সাংবাদিকতার নামে ও ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।’
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য ‘বিকৃত’ করে প্রচারের দাবি করে দৈনিক যায়যায়দিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি নামক সাংবাদিকদের সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
error: Content is protected !!