হোম » অন্যান্য বিভাগ » গণঅধিকার পরিষদে অস্থিরতা

গণঅধিকার পরিষদে অস্থিরতা

আওয়াজ অনলাইন: গণঅধিকার পরিষদের রেষারেষি এখন প্রকাশ্যে। দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনকে অব্যাহতির ঘোষণা এসেছে আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার পক্ষ থেকে।

সোমবার গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ঘোষণা করা হয়েছে রাশেদ খাঁনকে। কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য করা হয়েছে শাহাবুদ্দিন ‍শুভকে।

একইসাথে নুর ও রাশেদকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নুর। তিনি দাবি করেছেন- গণঅধিকার পরিষদের কাউকে বহিষ্কার বা বিভক্ত করার যোগ্যতা রেজা কিবরিয়া রাখেন না।

নুরুল হক নুর লেখেন, ‘রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদের ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ২১ জনকেও ভালোভাবে চেনে না, নামও বলতে পারবে না। ৫৪ জেলা কমিটির ১০ জনকে তিনি চেনেন কি না সন্দেহ! গত পৌনে দুই বছরে রেজা কিবরিয়া সংগঠনে পৌনে ২ লাখ টাকাও খরচ করেননি। ২০টা প্রোগ্রামেও ছিলেন না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ কিংবা গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন/ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ গঠনে রেজা কিবরিয়ার কোনো ভূমিকা নেই। সব কিছু গুছিয়ে আমরাই তাকে একটা গুছানো প্ল্যাটফর্মে এনেছিলাম। সুতরাং গণঅধিকার পরিষদের সংগঠকদের কাউকে বহিষ্কার করা বা গণঅধিকার পরিষদকে বিভক্ত করার যোগ্যতা রেজা কিবরিয়া রাখে না।’

‘বিদেশ বসে মাতাল হয়ে সে কি প্রেস রিলিজ দিলো, তাতে আমাদের কিচ্ছু যায়/আসে না। আমরা কেন্দ্রীয় মিটিং ডেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করেছি’ বলেও পোস্টে উল্লেখ করেছেন ডাকসুর সাবেক এ ভিপি।

অপরদিকে গণ-অধিকার পরিষদের আহবায়ক রেজা কিবরিয়ার সই করা এবং পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন ‍শুভর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূলনীতি-বিরোধী কাজ করা, সরকারের সংবিধান, মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা, ইসরাইলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন, অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনোনয়ন করা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সদস্য সচিব মো. নুরুল হককে কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক মো. রাশেদ খানকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। তাদের দু’জনকেই দলের দপ্তর বরাবর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, একইসঙ্গে আমি ড. রেজা কিবরিয়া, গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক হিসেবে সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সদস্য সচিব হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও গণঅধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করছি। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আন্দোলন বেগবান করার জন্য এসব নির্দেশনা দেওয়া হলো।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা রেজা কিবরিয়া।

error: Content is protected !!