হোম » অন্যান্য বিভাগ » পোড়ামাটির ফলকচিত্রে প্রাচীন বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনচিত্র’

পোড়ামাটির ফলকচিত্রে প্রাচীন বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনচিত্র’

সজীব আহম্মেদ রিমন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে “পোড়ামাটির ফলকচিত্রে প্রাচীন বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনচিত্রের উপস্থাপন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ফলকচিত্রের মাধ্যমে এই সেমিনারে প্রাচীন বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হলরুমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মালিহা নার্গিস আহমেদ-এর সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তেরো তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন ইরা’র সঞ্চালনায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত প্রাচীন পোড়ামাটির ফলক বা টেরাকোটার নিদর্শনে প্রাচীন বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দিক উপস্থাপন করেন।

সেমিনার প্রসঙ্গে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংস্কৃতি ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। যার অন্যতম অংশীদার হলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রতিবছর তারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ঐতিহ্য ছাড়াও ভাষা, বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, আদিবাসী ছাড়াও নানাবিধ গবেষণায় অর্থায়ন করে থাকে। সেই অর্থায়নের জন্য আমরা গত বছর আবেদন করি এবং তারা এই গবেষণাটি নির্বাচন করে। তিনি আরও বলেন, ‘এই গবেষণায় আমরা গুপ্ত পরবর্তী সময় থেকে মুসলিম আগমনের আগ পর্যন্ত বিহার কেন্দ্রিক যে পোড়ামাটির ফলকচিত্র পাই তা দিয়ে প্রাচীন সামাজিক অবস্থা তুলে ধরি। কারণ শিল্পী যখন এই টেরাকোটাগুলো তৈরি করেছেন তার চারপাশের যা দেখেছে তাই সে টেরাকোটায় তুলে ধরেছে। তাই সেগুলোকে পাঠ করে আমরা বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব (প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিশাখা) নাফরিজা শ্যামা (প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিশাখা), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় উপসচিব (শাখা-০৬) মোঃ সাইফুল ইসলাম। প্রবন্ধ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও রেজওয়ানা আফরিন এবং প্রত্নতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সংবাদকর্মীরা।

error: Content is protected !!