হোম » অন্যান্য বিভাগ » গোবিন্দগঞ্জে প্রকৌশল দপ্তরের উদাসীনতা ঠিকাদার কর্তৃক অবৈধভাবে ব্রীজ ভাঙতে গিয়ে আহত- ৩

গোবিন্দগঞ্জে প্রকৌশল দপ্তরের উদাসীনতা ঠিকাদার কর্তৃক অবৈধভাবে ব্রীজ ভাঙতে গিয়ে আহত- ৩

আঃ খালেক মন্ডলঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের উদাসীনতায় জনদুর্ভোগ চলমে পৌঁছেছে। এবার কথিত ঠিকাদার লিমন কর্তৃক অবৈধভাবে ব্রীজ ভাঙ্গার সময় মাটি ও ইট-চাপায় তিন জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই তড়িঘড়ি করে হাজার হাজার ইট ও রড আত্মসাত করার অভিযোগ দুর্ভোগে থাকা এলাকাবাসীর।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২২ জানুয়ারি) উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফতুল্যাপুর গ্রামে। ফুটানিবাজার থেকে ফতুল্যাপুর যাওয়ার পাকা রাস্তাটির মাঝে থাকা পুরাতন ব্রীজটি অবৈধভাবে ভেঙ্গে নেওয়ার সময় ইট ও মাটি চাপা পড়ে তিন জন শ্রমিক আহত হয়। আহতরা গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার থেকে লিমন নামের এক ঠিকাদারের শ্রমিকরা ভাঙ্গা শুরু করে। তারা ব্রীজের ছাদ ভেঙ্গে রড এবং মাটি খুঁড়ে ইট তোলার চেষ্টা করে। সোমবার সকালে সেখানে ইট খোলার চেষ্টাকালে মাটি ও ইট চাপা পড়ে তিনজন শ্রমিক আহত হয়। আহতদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মাঝেই তড়িঘড়ি করে ট্রলিতে করে প্রায় হাজার দশেক ইট ও রড সরিয়ে নিয়ে ঠিকাদারের লোকজন সটকে পড়ে।

আহতরা জানান, তারা লিমন নামের এক ঠিকাদারের কাছে চুক্তিতে ব্রিজটি ভাঙতে আসে। তবে মূল ঠিকাদার জেলার সাঘাটা উপজেলার জহির এসএসপি। তার কাছ থেকে কিনে নিয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করার কথা লিমনের। এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার লিমন জানান, ব্রিজের পাঁচ হাজার ইট ফেরত দেওয়া হবে। তবে মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। বিষয়টিতে সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদারের দপ্তরে কথা বলেন। তিনি ব্রীজ ভেঙ্গে শ্রমিক আহতের বিষয়টি জানেন না। তিনি আরও জানান, ব্রিজ ভাঙ্গার বা নির্মাণের কার্যাদেশ এখনও হয়নি। বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য তিনি সাবস্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার হারুনকে পাঠিয়েছেন বলে জানান। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার দপ্তর থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য পাওয়া যায়নি।

কার্যাদেশ না পেয়েই পুরাতন ব্রীজ ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে গেলেও উপজেলা প্রকৌশলীর না জানা বিষয়টিতে দপ্তরটির উদাসীনতাকেই দায়ী করছে সচেতন মহল। এর আগেও নিম্নমানের কাজের অভিযোগে দপ্তরটির দৃষ্টি আকর্ষণে অনেক অভিযোগেই তারা কর্ণপাত করেননি। এর মধ্যে রয়েছে- চলাচলের উপযোগী পার্শ্ব রাস্তা তৈরি না করেই ঘি-ডাঙ্গা হাট ও আমতলি বাজারের পাকা সড়কের উঁচু ব্রিজের রেলিং ও নিচের ইট খুলে নেওয়া; সম্পন্ন হওয়া শালমারা (জীবনগাড়ি) ব্রিজ; মহিমাগঞ্জের (জগদীশপুর) ব্রিজ। নিম্নমানের সড়কের কাজের মধ্যে রয়েছে শিবপুর (ভাগগোপাল রোড) ও কামদিয়া (কুদ্দুস সরকার কৃষি কলেজ রোড) ইউনিয়নে সম্প্রতি সম্পন্ন করা নতুন দুটি সড়ক।

error: Content is protected !!