ডা রওশন আরাঃ একটি অল্প বয়সী নব দম্পতি একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়ায় এলেন। তাঁদের প্রতিবেশী একজন বৃদ্ধ দম্পতি। প্রতি রবিবার বিকালে প্রতিবেশীকে সঙ্গ দেবার উদ্দ্যেশ্য তাঁরা দুজন ওনাদের বাড়িতে কফি খেতে আসতেন। প্রতিবারই তাঁরা লক্ষ্য করতেন যে বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীকে খুব মিষ্টি স্বরে কফি বানাতে বলতেন আর খানিকবাদে বৃদ্ধা ঘরে এসে কফির টিনটি বৃদ্ধকে খুলে দিতে বলতেন। এক রবিবার এই অল্প বয়সীরা দুটি জিনিস আনলেন ১) কফি মেকার আর ২) কফির টিন খোলার যন্ত্র।
তার পরের রবিবারও সেই একই ছবি বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে অনুরোধ করছেন আর বৃদ্ধা বৃদ্ধের কাছে এসেছেন কফির টিন খোলাতে। অবাক নব দম্পতি আলাদা করে দুজনের সঙ্গে কথা বললেন আর শুনলেন,
বৃদ্ধ বললেন, কে বলেছে আমি কফি মেকারে কফি বানাতে পারি না। খুব পারি। কিন্তু আমি আমার স্ত্রীকে সব সময় বোধ করাতে চাই যে আমি ওনার ওপর সম্পূর্ন ভাবে নির্ভরশীল। এই বোধটা যেন সব সময় জেগে থাকে ওনার মনে যে উনি ছাড়া আমার জীবন অর্থহীন। তাহলে এই একে অপরের মধ্যে নির্ভরতার মধ্যে আমাদের এই দীর্ঘ বিবাহিত জীবন আরও দীর্ঘদিন গড় গড় করে চলবে।
মহিলা বললেন, কে বলেছে আমি বোতল খুলতে পারি না। তোমার দেওয়া যন্ত্র ছাড়াই পারি তাও করি না কারণ আমি এটা দিয়ে মনে করাই উনি আমার থেকেও শক্তিশালী আর বৃদ্ধ হলেও আমাকে রক্ষা করার মত যথেষ্ট শক্তি ওনার এখনও আছে। জানতো আমাদের সময় তো শেষ হয়ে আসছে, আগামী দিন গুলো আমরা একে অপরকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে চাই আর ত করতে হলে একে অপরের গুরুত্ব শুধু বুঝলেই চলবে না চাই তার প্রকাশও।
জানেন তো, অনেক সময় আমরা নিজে কতটা শক্তিশালী এটা প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যদের ছোট করে ফেলি আর অজান্তেই জীবন হয়ে ওঠে জটিল। একটু অন্যকে মান দিলে, একটি গুরুত্ব দিলে দেখবেন জীবন চলেছে গড়গড়িয়ে।
সংগৃহিত – ছবি
আরও পড়ুন
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আমিরাতের বন্দরে জাহাজ আব্দুল্লাহ্, ছুটে গেলেন মালিকপক্ষ
ইসরায়েলে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ