শাহজাহান সিরাজ: গাইবান্ধা শহরে বেশ কয়েকটি ¯পটে কেনাবেচা হচ্ছে বাংলা মদ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতার অভাবে ক্রমশ তা বাড়ছে। ফলে আবারও মাদক ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। উল্লেখ্য, গাইবান্ধায় ১৯৯৮ এর মাদক ট্রাজেডিতে বিষাক্ত মদপানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা দুই যুগেও শেষ হয়নি। গাইবান্ধা শহরের কাঠপট্টি, গোরস্থান মোড়, সার্কুলার রোড, প্রধান ডাকঘর ও সাবেক বার লাইব্রেরী সংলগ্ন রেলস্টেশন সংলগ্ন সুইপার কলোনী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির পেছনে চলে এসব রমরমা বাংলা মদের ব্যবসা।
সুইপারদের জন্য এই মদ সেবনের অনুমতি থাকলেও সুইপাররা তাদের বরাদ্দকৃত মদ ভাটিখানা থেকে অতিরিক্ত বাংলা মদ নিয়ে এসে তাদের বসতবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্য মাদকাসক্তদের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে। এছাড়া শহরের বেশকিছু হোমিও দোকানেও ওষুধের আড়ালে বিক্রি হয় রেক্টিফাইড ¯িপরিট। মাঝে মধ্যেই র্যাব, পুলিশের অভিযানে মাদকের ছোটখাটো চালান ধরা পড়লেও অধরাই থেকে যায় প্রকৃত অবৈধ মদ ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে জনবল সঙ্কটে কার্যকর তেমন ভ‚মিকা রাখতে পারছে না মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এব্যাপারে গাইবান্ধা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন জানান, র্যাব পুলিশের অভিযান ছাড়াও গত এক বছরে গাইবান্ধায় চারশ আশিটি অভিযান চালিয়ে একশ নব্বই জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি আহত
চন্দনাইশে সাতবাড়ীয়া বার আউলিয়া আলিম মাদ্রাসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদান
আসন্ন রৌমারী উপজেলা নির্বাচনী জনসভায় অপপ্রচারর বিরুদ্ধে মানববন্ধন