হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আহত ১০

সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আহত ১০

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার  ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে উভয় পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী। শনিবার সকালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ইট পাটকেল ককটেল বিস্ফরনের  ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করে  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের উদ্যেগে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। পরে এ সভা শুরু হলে বেলকুচি আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেলকুচি মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার  সমর্থক ও বর্তমান মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকের  দুই গ্রুপের মধ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাকেল নিক্ষেপের কারনে সর্বপক্ষের সমর্থক আ’লীগের নেতা কালাম, শ্রমিকলীগের নেতা হাফিজুর, ছাত্রলীগের নেতা জুয়েল, সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রফিকুল, শফিকুল, লিখন, ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌসসহ ১০ জন আহত হয়।
‌প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলকুচি উপজেলার আ’লীগের কার্যালয়ে ১১ টায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত  শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকেই বেলকুচি মেয়র আশানুর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল সভার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বেলকুচি মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার  সমর্থকরা রাস্তার উপরে দাড়িয়ে ছিল ও আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা ধাওয়া  পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
বেলকুচি উপজেলার সাবেক আওয়ামী যুবলীগের আহব্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা  জানান, আমি আসন্ন বেলকুচি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী। এর জের ধরে মেয়র আশানুর বিশ্বাসের লোকজন আমার সর্মথকদের উপর হামলা করেছে। আর এই হামলায় আমার ৭জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে বর্তমান মেয়র বেগম আসানুর বিশ্বাস বলেন, আমি নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে বর্ধিত সভায় যোগদান করতে কার্যালয়ের কাছাকাছি আসলে রেজা গ্রুপের লোকজন আমার নেতা কর্মীদের উপর ঢিল ছুরতে থাকে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা  জানান, দু’পক্ষের মাঝে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নিরাপত্তা স্বার্থে ৬ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। দু’পক্ষের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এ ঘটনায় এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
error: Content is protected !!