হোম » সারাদেশ » সাংবাদিক জাহেদকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

সাংবাদিক জাহেদকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকা ও সি ভয়েসের সাতকানিয়া প্রতিনিধি জাহেদ হোসাইনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হত্যা মামলার আসামি এক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সাতকানিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।
সাতকানিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মোস্তাক আহমেদ সাব্বির সাধারণ ডায়েরি (জিডি)’র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলা কালিয়াইশ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব কাঠগড়ের বাসিন্দা ও কালিয়াইশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন মিন্টু (৩৫), উত্তর কালিয়াইশ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল বশরের ছেলে নজরুল ইসলাম (২২), একই এলাকার আইজ্জার বর বাড়ির আবদুস শুক্কুরের ছেলে শাহাদাত ইসলাম আকাশ প্রকাশ মোস্তাক (৩২) ও মাস্টার হাট ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বশরের ছেলে এরফান উদ্দিন (৩২)। উভয়ই একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জিডি সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত বিবাদীগণ আইন অমান্যকারী, উশৃংখল, খুনি ও সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক। জিডি’তে উল্লেখিত ১ নং বিবাদী একজন মাদক কারবারি, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী, হত্যা মামলার আসামি। অবৈধ বালু ব্যবসা, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করায় তাদের অবৈধ বালুর ব্যবসা ও মাদক চোরাচালান বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে (২৫ এপ্রিল) আমাকেও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছে। বর্তমানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক মোঃ জাহেদ হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মূলত আমার এলাকায় আমি বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। যার কারণে তার  ইয়াবা ব্যবসা ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে সাঙ্গু নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু ও মাটি বিক্রি বিরুদ্ধে বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আামাকে মারার জন্য তার সাঙ্গপাঙ্গদের আমার পেছনে লেলিয়ে দেন।
সাতকানিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মোস্তাক আহমেদ সাব্বির বলেন, সাংবাদিক মো.জাহেদ হোসাইন থানা উপস্থিত হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
error: Content is protected !!