হোম » প্রধান সংবাদ » লালমনিরহাটে কামারদের ব্যস্ততা বেড়েছে

লালমনিরহাটে কামারদের ব্যস্ততা বেড়েছে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার গ্রামীণ প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প নানা সংকটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, কারিগরদের মজুরি বৃদ্ধি, তৈরি পণ্যসামগ্রী বিক্রয় মূল্য কম, কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিদেশ থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্টীল সামগ্রী আমদানিসহ চরম আর্থিক সংকট ও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কম থাকায় লালমনিরহাট জেলার কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে।

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া, মহল্লার কামাররা দেশী প্রযুক্তির দা, কুরাল, বেকি, কাচি, ছোরা, পাসুন, কুরাল, খন্তা ও কাটারি বানাতে বেশ উৎসব মুখর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। হাট-বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় এসব পণ্য পাওয়া যায়। কামার পল্লীগুলোতে টুংটাং শব্দে এখন মুখরিত।

আধুনিকতার উৎকর্ষ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে নানাবিধ সমস্যার কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে হাজার বছরের গ্রাম বাংলার মানুষের প্রিয় শিল্পটি। এক সময় লালমনিরহাট জেলার প্রায় শতাধিক কামার পরিবার থাকলেও তাদের তৈরী পণ্য সামগ্রী প্রযুক্তির ছোঁয়ার কাছে টিকে থাকতে না পারাই বেশকিছু পরিবার তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে পরিবারের অভাব-অনটন ও চাহিদার তাগিদে লাভজনক অন্য পেশায় চলে গেছে। বর্তমানে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা, বুমকা, কর্ণপুর,

আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের পুরান ভেলাবাড়ীসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের কামাররা তাদের পৈতৃক পেশা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে হলেও দু’মুঠো ভাতের আশায় তারা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গোশালা বাজার, নবাবের হাট, সাপটানা হাট, দুরাকুটি হাট, বড়বাড়ী হাটসহ প্রতিটি হাট-বাজারে এখানকার কামারদের নিপুণ হাতে তৈরি বঁটি, ছুরি, কাটারি, দা, বেকি, কুঠার, খন্তা ও লাঙ্গলের ফলাসহ বিভিন্ন ধরনের যাবতীয় প্রয়োজনীয় লৌহজাত দ্রব্য পাওয়া যায়।

error: Content is protected !!