হোম » প্রধান সংবাদ » আদমদীঘির সান্তাহারে রাধাকান্ত পশুর হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকলেও মানছে না স্বাস্থ্যবিধি!

আদমদীঘির সান্তাহারে রাধাকান্ত পশুর হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকলেও মানছে না স্বাস্থ্যবিধি!

গোলাম রব্বানী দুলাল,আদমদিঘী উপজেলা প্রতিনিধি : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার সান্তাহার রাধাকান্ত পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে হাটে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বসহ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। ফলে পশুর হাট যেন এখন করোনার মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর অন্যদিকে কোরবানীকে সামনে রেখে রাধাকান্ত পশুর হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী থাকলেও কেহ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশু কেনা-বেচা করছে। হাটে মাস্ক, হ্যান্ডগেøাবস ছাড়াই ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। এতে যেন পশুর হাটে করোনা সংক্রমণের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

গত শনিবার সান্তাহার রাধাকান্ত পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে প্রচুর পশু আর ক্রেতা-বিক্রেতা। একজন আরেক জনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেউ করছেন পশুর দরদাম। আবার কেউবা পশু কিনে তুলছেন পরিবহনে। এদের মধ্যে কিছু মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে, কারও বা আবার রাখা আছে পকেটে। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনা-বেচা চলছে এসব হাটে।

ছাতিয়ানগ্রামের নিমাইদিঘী গ্রাম থেকে মিলন হোসেন হাটে গরু নিয়ে আসলেও মুখে নেই মাস্ক। কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মাস্ক আছে তবে বাড়িতে। গরু নিয়ে আসার সময় ধাক্কা ধাক্কিতে মাস্ক নিতে মনে নেই। গরু কিনতে আসা কদমা গ্রামের আজিজুল ইসলাম বলেন, এক সঙ্গে এত মানুষের ভিড় থাকায় যে গরম পড়েছে, তাতে মাস্ক পড়ে থাকা যায় না। হাটে পশু কিনতে আসা গরুর ব্যাপারী আজগর আলী বলেন, শত শত মানুষদের মধ্যে কীভাবে এতসব নিয়ম মেনে চলা যায়। নিয়ম না মানলে জীবনের ঝুঁকি আছে ঠিক, তারপরও ব্যবসা তো করতেই হবে। হাটগুলো নিয়ে প্রশাসন যদি একটু সচেতন হতো, তাহলে কিছুটা হলেও মানুষ নিয়ম-নীতি মেনে চলতো। হাটের চারপাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী খাবার হোটেলও নেই স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো চিত্র। এক টেবিলেই বসে গাদাগাদি করেই খাবার খাচ্ছেন হাটে আসা মানুষজন।

এ ব্যাপারে সান্তাহার রাধাকান্ত হাটের ইজারাদার রাশেদুল ইসলাম রাজা বলেন, কোরবানি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমাদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। হাটের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হয়েছে, এ ছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার মাইকিং করা হচ্ছে। অপরদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ক্যাম্প ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। তবে আমরা পশু ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এসব ব্যবস্থা রেখেছি।

এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, গরুর হাটগুলোতে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সেই জন্য ইতোমধ্যে আদমদীঘি ও সান্তাহার পশু হাটে মাস্ক না পড়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রতিটি পশুর হাটে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান অব্যহত থাকবে।

error: Content is protected !!