বরগুনা প্রতিনিধি: শুক্রবার বরগুনা সদর উপজেলার ০৮নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের কালীর-তবক গ্রামে গলায় দড়ি দিয়ে গৃহবধূর (নবম শ্রেণীর ছাত্রী) রহস্য জনক আত্মহত্যা। পরে লাশ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে যানা যায়, আনোয়ার হোসেন খান এর মেয়ে মোসাম্মৎ সরনা আক্তার এর সাথে স্বামী ইয়াসিন মুসল্লী সাথে গত এক বছর আগে প্রেম সম্পর্কের মাধ্যমে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় পরে পারিবারিক মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহ হওয়ার পর প্রায়ই তাদের ভিতরে কথা কাটাকাটি মারামারি হতো বাসায় তেমন কেউ থাকতো না। মাঝে মাঝে স্বর্ণার মা বাসায় রান্না করে দিয়ে আবার দোকানে যেতো।
রাত্রে ঘুমের জন্য আবার বাসায় আসত। ঘটনার দিন সকালে মেয়ে এবং মেয়ের জামাই ইয়াসিনকে বাসায় দেখে তাদেরকে বলে সে দোকানের উদ্দেশ্যে যায়। এগারোটার দিকে বাসায় এসে দেখে তার মেয়ের ঝুলন্ত লাশ। চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে মৃত্যু দেখে পুলিশকে খবর খবর দেয়,পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে এবং পরিবারের অভিযোগ ইয়াসিন স্বর্ণা কে হত্যা করে ওর্নার সাথে ঝুলিয়ে রাখে পরে ওখান থেকে পালিয়ে যায়।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম থানার পুলিশ, ডিবির টিম নিয়ে এক ঘন্টার ভিতরে আসামি ইয়াসিন মুসল্লি কে কেজি স্কুল সড়কের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রতিবেশী হানিফ বলেন, আনোয়ার খান দুইটি বিবাহ করেন। প্রথম স্ত্রীর নাম শেফালী বেগম। দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া বেগম। স্বর্ণা আক্তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে। আনোয়ার খানের দুই সংসারের দুইটি মেয়ে বড় সংসারের বড় মেয়ে শিল্পী বেগম কাঠপট্টি 7 নং ওয়ার্ডে আবুল কাশেমের সাথে তাঁর বিবাহ হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে স্বর্ণার এক বছর আগে ইয়াসিনের সাথে বিবাহ হয়। পরে দেখতাম তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি হইতো।
স্বর্ণার বড়(সৎ) বোন বলেন, আমার ছোট মা অনেক কিছুই লুকাচ্ছেন! এ ব্যাপারে সে-সব কিছুই জানে কিন্তু বলছে না। প্রথমে আমি/ আমরা এই সম্পর্কের(প্রেম) বিয়েতে রাজি ছিলাম না। তারপরে আমার ছোট মা ও ছোট মায়ের ভাই মাহাতাব হোসেন গার্ডিয়ান হয়ে বিয়ে পড়ায বরগুনা সদর ধুপুতি় ছেলের বাড়িতে বসে। ছেলের সাথে মেয়ের প্রায়ই মারধর কথা কাটাকাটি হইত, এগুলো সে বলতে চাচ্ছে না। আমি আমার বোনের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামির বিচার চাই।
ছেলের বাবা আবুসালে মুসল্লীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রসাশন) মাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা আত্মহত্যার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এবং আমাদের পুলিশের বিভিন্ন টিম অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেজি স্কুল সড়ক থেকে একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এখনো তদন্ত চলছে আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্য জাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন
হাতীবান্ধা এস এস একাডেমির জার্সি উন্মোচন ও চাইনিজ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ১০ হাজার টাকা জরিমানা