মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ- হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন
সঙ্গী হিসেবে অনেকেই আখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকার ছোয়ায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক
বাতিতে বাজার ভরপুর।
যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন। সরেজমিনে রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের ভার্সমান দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে -ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত।
এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না। উপজেলার মুজাফফরপুর চরপাড়া গ্রামের মসজিদের ঈমাম মোঃ সুজাবত আলী বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে চলাচল করা যেত না। কিন্তু এখন বাজারে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। গঙ্গারামপুর গ্রামের হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো। কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ।
তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। এদিকে রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল করিম জানায় এখন কার সময়ে কিছু কিছু ঘরে হারিকেন থাকলেও তা আর কেউ ব্যবহার করে না। তিনি আরও বলেন, সময়ের পরিক্রমায় এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেনের ইতিহাস।
আরও পড়ুন
হাতীবান্ধায় অর্ধকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ‘হাজী হাফিজুর রহমান
হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় ও মোনাজাত