হোম » প্রধান সংবাদ » দীর্ঘ ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ শিকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

দীর্ঘ ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ শিকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

মোঃনাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধিঃ মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিন শেষ হবার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় শুরু হচ্ছে ইলিশ আহরণে সমুদ্রযাত্রা। ইলিশ শিকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বঙ্গোপসাগরের উদ্দ্যেশে রওনা হবে বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলীয় জেলার হাজার হাজার জেলে।

শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ট্রলারগুলো নোঙর করে আছে সাগরে যাওয়ার অপেক্ষায়। মাছ ধরার জাল, জ্বালানি তেল, খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ শেষে শেষ প্রস্তুতি হিসাবে বরফ ভর্তি করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা। মৎস্য আড়তের মহাজনরা হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসে পড়েছেন।

মৎস্য আড়তদার মোঃ মজিবর তালুকদার, মোঃ সরোয়ার হোসেন ও মোঃ জামাল হাওলাদার জানান, অবরোধের দুই মাসে অনেক লোকসানে গুনতে হয়েছে। জেলেদের খোরাকি এবং জাল-ট্রলার মেরামত করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়েছে মহাজনদের। বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় মৎস্য সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল হাওলাদার জানান, গভীর সাগরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত শরণখোলায় রয়েছে ৬০০ ট্রলার। এসব ট্রলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সাগরে যাওয়ার অপেক্ষা করছে।

ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন,  ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারী সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কিছু অসাধু জেলেরা সাগরে ইলিশ শিকার করেছে। ভবিষ্যতে সমুদ্র রক্ষায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইন প্রয়োগ এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন তিনি। এ ব্যাপারে শরণখোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ২০১৯ সালে শরণখোলার জেলেরা সমুদ্র থেকে ৭৬০ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করেছে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৮০০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে

error: Content is protected !!