হোম » প্রধান সংবাদ » বগুড়ার গাবতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফারুকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে পদবহালের দাবি

বগুড়ার গাবতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফারুকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে পদবহালের দাবি

রায়হানুল ইসলাম, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফারুকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে স্বপদবহালের সাথে সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন ফারুকসহ এলাকাবাসী। শনিবার সকালে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত-এর নেতৃত্বে, সহ-সভাপতি লুৎফুল বারী বাবু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল কাদির শিপন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাময়িক অব্যহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক আহম্মেদের বাড়িতে সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে এলাকাবাসী নিছক ভুলবোঝাবুঝি উল্লেখ করে ফারুকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস দেন।

 

উল্লেখ্য, ফারুক আহম্মেদের মা মোছাঃ ফাতেমা খাতুন ছেলের বউয়ের সঙ্গে গাছ রোপন করা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এই ঘটনাকে পুজি করে একটি শ্রেণী তার মা-বাবাকে ভুল বুঝিয়ে থানায় একটি অভিযোগ করায়। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারুক আহম্মেদকে দল থেকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়।

পরে অবশ্য বৃহস্পতিবার বিকেলে গাবতলী প্রেসকাবে তার মা মোছাঃ ফাতেমা খাতুন লিখিতভাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমি বুঝতে পারিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরায়ন হয়ে ঐ ব্যক্তিরা আমার পুত্রকে সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক তি করবে। এই ঘটনাকে এলকাবাসীও, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে লেখালেখি করা হয়েেছ, তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমুলক বলে উল্লেখ করেন।

ফারুক আহম্মেদ জানান, আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তা যেন আর কারো সাথে না ঘটে এই জন্য সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি এবং আমাকে স্বপদে বহালের আহবান জানিচ্ছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন, আমরা তদন্ত করেছি বিষয়টি জেলা সভাপতিকে অবহিত করবো।

অপরদিকে এবিষয়ে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন জানান, পত্র-পত্রিকা ও সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে ফারুককে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে আজকে আমাদের তদন্ত কমিটির সেখানে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছে তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই তা যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি সুরাহা করবো।

তদন্তকালীন সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল ইসলাম বুলেট, সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন, সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পলাশ মিয়া, ¯স্থানীয় গণ্যমান্যেদের মধ্যে ছিলেন এনামুল হক মজনু, আঃ হান্নান, মোশারফ হোসেন রাঙ্গা, মোস্তাফিজার রহমান, মতিউর রহমান, মিঠু মিয়া, হারুন, ভুটো, আঃ হামিদ, মাসুদ ও আঃ মোমিন।

error: Content is protected !!