হোম » প্রধান সংবাদ » আদমদীঘিতে রক্তদহ বিলের মূল খালের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ

আদমদীঘিতে রক্তদহ বিলের মূল খালের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ

গোলাম রব্বানী দুলাল,আদমদিঘী উপজেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে রক্তদহ বিলের খালের ওপর ২০০৬ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ববাবধানে ৬০.৯৬ মিটার দীর্ঘ স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে বিল পাড়ের কদমা, করজবাড়ি, রামপুরা ও কাশিমালাসহ ৮/১০ গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার চিত্র বদলে যায়। কিন্তু ব্রিজটি উদ্বোধনের পর ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার করেননি কর্তৃপক্ষ। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও জনসাধারণ।

জানা যায়, আদমদীঘির কদমা মৎস্য খামারের নিকট ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের মূল খালের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ২০০৬ সালের ১৬ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। এতে বিল পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ কমে যায়। সহজেই তাদের কৃষিপণ্য ও শষ্য পরিবহন করা সম্ভব হয়। সহজ হয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। ব্রিজটি নির্মাণের পর কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও সংস্কার কাজ না করায় পাটাতনগুলো নষ্ট হওয়ার ফলে দিন দিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

ফলে ব্রিজটি নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, হাট-বাজার, স্কুল কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জংশন স্টেশন থাকায় সান্তাহার পৌর শহর উপজেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। ব্রিজটি নির্মাণের আগে সান্তাহার পৌঁছাতে আদমদীঘি হয়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হতো। রক্তদহ বিলে বেইলি ব্রিজটি নির্মাণের ফলে কমে যায় ৭ কিলোমিটার পথ। বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও জীবন-জীবিকার ত্যাগিদে ঝুঁকি নিয়েই এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার না করা হলে যে কোনো মুহূর্তে পাটাতন ভেঙ্গে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের প্রাণের দাবি এখানে বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণের।

এ ব্যাপারে সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, ব্রিজের যে অবস্থা তাতে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতেই ভয় লাগে। জনস্বার্থে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, স্টিলের বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় রয়েছে। তাই এর দেখভাল বা মেরামতের ব্যবস্থা তারাই নেবেন।বগুড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Loading

error: Content is protected !!