হোম » প্রধান সংবাদ » করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সুযোগে সুন্দরবনে সক্রীয় হরিণ শিকারী চক্র 

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সুযোগে সুন্দরবনে সক্রীয় হরিণ শিকারী চক্র 

নাজমুল ইসলাম শরণখোলা প্রতিনিধিঃ   করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সুযোগে সুন্দরবনে হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় বনরক্ষীদেরও টহলে কিছুটা গাঁ ছাড়া ভাব রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে বনের অভয়ারণ্য এলাকায় চোরা হরিণ শিকারীরা। তবে বন বিভাগের দাবি, অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীদের মধ্যে মায়াবী চিত্রা হরিণ অন্যতম ও আকর্ষণীয়। বিগত কয়েক বছরে বনবিভাগের নজরদারির কারণে সুন্দরবনের হরিণ শিকার অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বনরক্ষীদের টহল ব্যবস্থা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ায়, এই সুযোগটাকে ব্যবহার করে বনের অভ্যন্তরে হরিণ নিধন করছে একটি চক্র। জেলেদের ছদ্মবেশে সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এলাকায় ঢুকে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করছে।
হরিণ শিকারীদের মদদ দাতারা একটু প্রভাবশালী হবার কারনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, এভাবে হরিণ শিকার চলমান থাকলে সুন্দরবনের সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে যাবে। ‘গডফাদার’ যারা আছে প্রশাসনিকভাবে আইনের আওতায় এনে যদি তাদের বিচার করা হয়, তাহলে হরিণ শিকার বন্ধ হবে। তবে বনরক্ষীদের দাবি, শিকারীদের ধরতে সক্রীয় ভুমিকা পালন করছে এবং গত দু’মাসে চোরা চক্রকে আটকের সফলতার কথা ব্যক্ত করেন।
বন নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদদের দাবি, হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, বন বিভাগ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ তৎপরতায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।  পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, হরিণ শিকারীরা করোনা পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বনে প্রবেশ করলেও বন বিভাগের টহল দল তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধের পর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক হরিণ শিকার করা হয়েছে। শিকারীদের ফাঁদে আটকা পড়া ২২টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। শতাধিক কেজি হরিণের মাংস ও ১হাজার ৯শ ৫০ফুট বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬ জন শিকারীকে আটক করেছে বন বিভাগ।
error: Content is protected !!