হোম » চাকরির খবর » বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীদের অনশন স্থগিত

বেতন বৃদ্ধির আশ্বাসে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীদের অনশন স্থগিত

আওয়াজ অনলাইন: চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে টানা ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘট ও দুই দিন আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শেষে বেতন বৃদ্ধির মৌখিক আশ্বাসে অনশন স্থগিত করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারীরা। তবে তাদের দাবি না মানলে আবারও অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে অনশন স্থগিতের এ ঘোষণা দেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, আজ বিকালে সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে আমাদের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। সেখানে তারা দুটি দাবি রাখেন। দাবিগুলো হলো, বেতন বৃদ্ধি করে চারশ’ টাকা থেকে ছয়শত টাকা করা এবং আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে সেখানে তাদেরকে শতভাগ নিয়োগ দেওয়া এবং এটি লিখিত আকারে দেওয়া।

কর্মচারী প্রতিনিধিদের মধ্যে রফিক জব্বার হলের হল অ্যাটেনডেন্ট মোঃ শাহীন জানান, উপস্থিত সিনিয়র শিক্ষকেরা আমাদেরকে বলেছেন, ভিসি স্যারের কথা লিখিত আশ্বাসের চেয়ে কম না। স্যারের কথা মানেই একটা সার্কুলার। আমাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলেছেন, ছয়শত টাকা বেতন দেয়া সম্ভব নয়, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারীদের বেতনও এর চেয়ে কম। তারা চারশত পঞ্চাশ টাকা করার জন্য আগামী ২ তারিখে এফসিতে উঠাবেন এবং ১০ তারিখে সিন্ডিকেটে পাশ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

দ্বিতীয় দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে নিয়োগ বোর্ডে শতভাগ নিয়োগ দেয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যখন নিয়োগ দেয়া হবে তখন আমাদের প্রতিনিধিদেরকে গিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কথা বলছেন বলে জানান তিনি।

কর্মচারীদের মধ্যে ৭ জন প্রতিনিধি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, বঙ্গমাতা হলের মালি সুধীর সরকার, রফিক জব্বার হলের হল অ্যাটেনডেন্ট শাহীন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ক্লিনার সোহেল খান, সুফিয়া কামাল হলের গার্ড শামসুল আলম, শেখ হাসিনা হলের মালী আবু হানিফ, জাহানারা ইমাম হলের অফিস সহায়ক নাসরিন আক্তার, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সোহেল মিয়া।

কর্মচারীরা জানান, প্রশাসনের মৌখিক আশ্বাসে আমাদের অনশন স্থগিত করেছি। দাবি না মানলে আবারও অনশনে বসবো।

এর আগে, গত ১৭ জুলাই থেকে ১৩ দিন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন ও গত রোববার (৩০ জুলাই) থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন কর্মচারীরা। চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আশ্বাস না পাওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করছিলেন তারা।

error: Content is protected !!