ফরিদুল ইসলাম নির্জন: মেয়েটির নামা ইয়াশা সুকন্যা। মা-বাবা কতো যত্ন করে রেখেছেন নামটি। বাবা লন্ডনে থাকেন। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে পরীক্ষা দিতে যান মায়ের সাথে ২৩ জুন।
মা অভিভাবকদের সাথে বাইরে অপেক্ষায় থাকেন। পরীক্ষা শেষে সবাই বেরিয়ে এলেও মেয়ে বের হয় না। পরে কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখেন, মেয়েটি পরীক্ষায় উপস্থিত হয়নি।
পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখেন, ‘ইয়াশা বন্ধু ইশতিয়াকের সাথে রিকশাতে ঘোরেন সেদিন ।’ এতোদিন প্রশাসন কোনো খোঁজ না পেলেও, আজকে চ্যানেল ২৪ রিপোর্টে মেয়েটির খোঁজ পাওয়া গেছে। মেযেটির সাক্ষাৎকারে বলছে, তার মা শরীরে হাত তুলতো। খেতে দিতো না। নানু বাড়ীর লোকেরাও নাকি নির্যাতন করতো। সেই নির্যাতিত আচরণ থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান এবং বিয়ে করে সংসার করছেন।
এদিকে মেয়ের এই অভিযোগ নিয়ে মাকে প্রশ্ন করা হয়।
মা বলেন,’ মেয়ের পড়াশোনার জন্য ছোট থাকতে হয়তো মেরেছি। কথা না শুনলে হয়তো এমন করেছি।আমি ডিরেক্টলি বলতে পারি, সপ্তম শ্রেনী পর কখনো মেয়ের শরীরে হাত তুলিনি।’
মেয়েটিকে নিয়ে বলতে চাচ্ছি না। শুধু এই মাকে নিয়ে বলতে হচ্ছে। এই মা গত দুই মাস দিনের পর দিন থানাতে গিয়ে বসে থেকেছেন, কতো মানুষের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুধু একটি আশায়, মেয়েকে সুস্থভাবে ফেরত পেতে।
কিন্তু মেয়েটি ফিরলো সুস্থতা নিয়েই, মায়ের কোনো অভিযোগ নেই আর। মুখে হাসি। চোখ যেনো চৈত্রের খড়তা শুষ্ক হয়ে গেছে। মেয়ে তুমি মা হও, তুমিও একদিন বুঝতে শেখো মেয়ে নিঁখোজ হবার যন্ত্রণা! তবে তোমার মেয়ে যেনো এভাবে না জন্মায়!
অভাগী মা! আজীবন হতভাগা!
আরও পড়ুন
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আমিরাতের বন্দরে জাহাজ আব্দুল্লাহ্, ছুটে গেলেন মালিকপক্ষ
ইসরায়েলে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ