হোম » বিনোদন » বিকল্প শুটিং লোকেশন হতে পারে সিঙ্গাপুর

বিকল্প শুটিং লোকেশন হতে পারে সিঙ্গাপুর

আওয়াজ অনলাইন : ২০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে একদল কলাকুশলী সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন নাটকের শুটিং করতে। টিভি নাটকের এই সময়ের জনপ্রিয় জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ছিলেন এই দলে। শুরুতে কথা ছিল নির্মাতা প্রীতি দত্ত ও হাসিব হোসেন রাখি তাঁদের নিয়ে চারটি নাটকের শুটিং করবেন সেখানে। প্রথম নাটক শুটিং করেই মত বদলে ফেলেন নির্মাতাদ্বয়।

তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন চারটি নয়, আরো দুটি নাটকের শুটিং করবেন। বিষয়টি নিয়ে নিলয় ও হিমির সঙ্গে আলোচনা করেন। নিলয়-হিমিও কোনো আপত্তি করেননি। সিঙ্গাপুরে অনেকটা পিকনিকের আমেজে শুটিং ও ঘোরাঘুরি শেষে সোমবার দেশে ফিরেছেন অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।

দেশে ফিরে ভিনদেশে নাটকের শুটিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন অভিনেত্রী। হিমি বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম সিঙ্গাপুরে শুটিং করাটা কঠিন হবে। ঘুরেফিরে হয়তো একই লোকশনে শুটিং করতে হবে। পরে দেখলাম, প্রশাসনের কোনো ঝামেলা নেই।

এমনকি সাধারণ মানুষও শুটিংয়ে কোনো সমস্যা করছে না। অনেক সময় দেখা যায়, শুটিং দেখতে আশপাশের অনেক মানুষ হাজির হয়ে যায়। ফলে দৃশ্য ধারণে সমস্যা হয়। এবার এই ধরনের কোনো ঝামেলাও হয়নি। তাই প্রীতি দত্ত দিদি ও রাখি ভাইকে জানালাম, নাটক বেশি হলেও সমস্যা নেই।

ইউনিটটি শুধু যে শুটিংই করেছে তা কিন্তু নয়। বেশ আনন্দও  করেছে সবাই মিলে। সব নাটকের চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বজিৎ দত্ত। তিনি বললেন, ‘আমরা শুটিংয়ের অবসরে দারুণ সময় কাটিয়েছি। কেনাকাটা করেছি, ঘুরেছি। মনে হয়েছে নিজের দেশেই শুটিং করছি। একটি ছবি আছে, হিমিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে। সেখানে দেখবেন আমি, নিলয়, হিমি, রাখি ও পাভেল শুয়ে আছি। আসলে ছবিটি মজা করেই তুলেছিলাম। শুটিংয়ের মাঝে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। জ্বর-ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই নিলয়ের মাথায় এই ভূত চাপে। সে বলল, চলো, অনেক শুটিং হয়েছে। এখন একটু ঘুমিয়ে যাই। ছবিটি ঘুমের বাহানা করেই তোলা।’

নিলয় আর হিমি জুটিকে নিয়ে পাঁচটি নাটকের শুটিং করার পর নিলয় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। তখন বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান অভিনেতা খায়রুল বাশার ও পরিচালক মাহমুদুর রহমান হিমি। পরে খায়রুল বাশারের সঙ্গে আরো তিনটি নাটকের শুটিং করেছেন হিমি। বলেন, ‘আটটি নাটকের শুটিং করে দেশে ফিরব, এটা ভাবিনি। সিঙ্গাপুরে শুটিংয়ে কোনো সমস্যা না হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান প্রযোজক আলী বশির ভাইয়ের। দেশটিতে তাঁর অনেক দিনের আসা-যাওয়া। স্পটে সারাক্ষণ তাঁর লোকজন ছিলেন। আমি ঢাকায় ফিরেছি ৮ জানুয়ারি। কয়েক দিন বিশ্রাম নেব। তারপর নতুন কাজে ফিরব।’

কোনো নাটকের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন চিত্রগ্রাহক বিশ্বজিৎ দত্ত। যেহেতু একই প্রডাকশন হাউসের নাটক, তাই খুব বেশি ঝামেলা নেই। শিগগিরই নাটকগুলোর নাম জানানো হবে। দেশে নাটক-চলচ্চিত্র-ওয়েব কনটেন্টের জন্য অনেক সময়ই চাহিদামতো লোকেশন পাওয়া যায় না। তার ওপর নানা ঝামেলাও আছে। এর বিকল্প হতে পারে সিঙ্গাপুর। গল্প ডিমান্ড করলে দেশীয় নির্মাতারা এখন সহজেই দেশটিতে শুটিংয়ের চিন্তা করতে পারেন।

error: Content is protected !!