শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রায় ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এসএস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরু হওয়ার ৩ বছরে ভিত্তি ঢালাই দিয়ে মাত্র অর্ধেক পিলার নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসী জানান, নিম্নমানের কাজ গোপন করতে দ্রুত বালুমাটি দিয়ে পিলারগুলো ভরাট করার চেষ্টা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মসজিদের চার পাশে ভিত্তি ঢালাই ও পিলার করার জন্য গর্ত করে। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে আঁকা-বাঁকা ও হেলে পড়া পিলার দৃশ্যমান হয়।
স্থানীয় জনগণ মোবাইল ফোনে ছবি তুলে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ওই প্রকল্পে দায়িত্ব প্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জাহেদুল হাসান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
প্রেমিকার কাছে বদনামের জেরে হত্যা, ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার
পীরগঞ্জে ৩ দিন ব্যাপী আনন্দমার্গ মহাসম্মেলন