হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » নোয়াখালী ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা। 

নোয়াখালী ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা। 

মোহাম্মদ হানিফ: নোয়াখালী ৫ উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে ইট ভাটার  মালিকরা।আইনের প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোরে অবৈধভাবে ইটভাটা ছালিয়ে যাচ্ছে, এইসব ইটভাটা ইট তৈরিতে ফসলি জমির  উপরিভাগের অত্যন্ত, উর্বর মাটি চাষীদের পলোভন মাধ্যমে ক্রয় করছে, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে জেলার প্রায় ১৫০ টি ইট ভাটা রয়েছে, গ্রাম অঞ্চল থেকে অবাধে ভেকু দিয়ে গভীর করে গর্ত করে মাটি কাটার ফলে ফসলী ডোবায়  পরিণত  হচ্ছে, এতে করে ফসলী জমির আবাদ হুমকির মুখে,ঠিক তেমনি হ্রাস পাচ্ছে ফসলী জমির পরিমাণ, ও ফসল উৎপাদন।
সরজমিনে দেখা গেছে  সোনাই মুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর জয়াগ দেওটি আমিশাপাড়া বজরা বাংলাবাজার চাষির হাট , বারগাও, ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি (টপ সয়েল) পাচার হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা, একই চিত্র সেনবাগ  বিভিন্ন ইউনিয়নে বিজবাগ  কেশারপা  ছাতারপাইয়া কাদরা ডুমুরিয়া কানকির হাট, অভিযোগ উঠেছে ড্রেজার ও মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ভূমি অফিস সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ম্যানেজ করে এইসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না, আবার রাত দিন সমানভাবে ব্যস্ততম হাট-বাজার স্কুল কলেজ মাদ্রাসা দিয়ে মাটি বোঝাই ট্রাক,চলছে, সুবর্ণচর চর মজিদ গ্রামের  মইনুদ্দিন বলেন মাটি পরিবহন কাজে নিয়োজিত মাহিন্দ্র ও ট্রাক্টার কিছু ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতা কে ম্যানেজ করে ফসলী জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।
মাটি ভর্তি এইসব অবৈধ ট্রাক্টার করে  অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাটি বিক্রয় রমরমা ব্যবসা, তাছাড়া  এই সকল অবৈধ কাজে সহায়তা করছে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররা। অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলী জমির টপ সয়েল বা মাটির উপরে অংশ নিয়ে যাচ্ছে ইট সোনাইমুড়ি   উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা সম্পূর্ণ  অবৈধ আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান দিয়ে জরিমানা করেছি, কৃষকরা সচেতন না থাকার কারণে অতি লোভে মাটি বিক্রি করছে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে, সোনাইমুড়ি  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুর আলম সিদ্দিক বলেন টপ সয়েল  কৃষি জমির  প্রাণ,এখানে থাকে মাটির জৈব পদার্থ টপ সয়েল কর্তন করা হলে জমির উর্বর শক্তি হারায়   এই মাটি বিক্রয় অবৈধ সহকারী কৃষি অফিসারদের বলা আছে কৃষকদেরকে সচেতন করার জন্য।
এছাড়াও মাটি সংগ্রহে জেলা প্রশাসনের অনুমতি তোয়াক্কা করছে না। অনেক ইটভাটা বিদ্যালয় সংলগ্ন কিংবা আবাসিক এলাকা  গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও ফসলের উপর অনেক প্রভাব পড়ছে স্থানীয়  এলাকাবাসী বলছে ভাটার আশেপাশে আম কাঁঠাল কলা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে গাছে ফল নষ্ট হচ্ছ ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন পৌর এলাকায়ও ইটের বাটা তৈরি করছে এসব কাটার মালিকরা আইনের তোয়াক্কা করছে না, সরে জমিনে দেখা গেছে পোড়াতে কাঠের ব্যবহার করছে যত্রতত্র থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার করছে। এইসব ভাটার অনেকেরই নেই পরিবেশের ছাড়পত্র ভাটার লাইসেন্স। এই সব চিত্র চাটখিল বেগমগঞ্জ সুবর্ণচর। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যক্তি ব্যতীত কোন ব্যক্তি জমির শ্রেণি পরিবর্তন কিংবা জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেনা, এই নিয়মের এর বাইরে গিয়ে কেউ জমির মাটি কেটে বিক্রি করলে তাহলে আইনগত আইনগত ব্যবস্থা না হবে।
error: Content is protected !!