হোম » সারাদেশ » কাকডাকা ভোরে জমির মাটিতে পা ফেলেন কৃষক ফলান রসনাতৃপ্ত শাক-সবজি

কাকডাকা ভোরে জমির মাটিতে পা ফেলেন কৃষক ফলান রসনাতৃপ্ত শাক-সবজি

হাজী মোঃ জাকির হোসেন: হেমন্তের কোমল হিমেল হাওয়া যেমন শীতের আবেশ জাগাচ্ছে, তেমনি বাজারে থরে-থরে সাজানো শাক-সবজিওরসনাবিলাসীদের রসনাতৃপ্ত করার জন্য প্রস্তুত শাক-সবজি  খেতে আমরা কম  বেশি সবাই খুব পছন্দ করি। আর স্থানীয় জমিতে ফলানো সবজির তো কথায় নাই  কেননাসবজির জন্য সবচেয়ে ভালো সময় শীতকাল হলেও এখন আগাম পাওয়া যা  বলে সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে।

আপনি জানেন কী কিছু কিছু শাক সবজিতে এমন উপাদান আছে যা কিনা আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধক? আবার কিছু সবজিআপনার উচ্চরক্ত চাপ কমিয়ে জটিল রোগ থেকে আপনাকে মুক্ত রাখে? ক্ষেতজুড়ে ছেয়ে আছে পাট শাক। পাশাপাশি ক্ষেতে আগাছাও একেবারে কম জন্মায়নি। তাই ক্ষেতের মধ্যেই বসেছিলেন কৃষকআব্বাস আলী। সেই কাকডাকা ভোরে জমির মাটিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই ক্ষেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখেআগাছার গোড়ায় নিড়ানি (স্থানীয় ভাষা) দিচ্ছিলেন অবিরাম আব্বাস আলী।

কাজের চাপে সকালের খাবারের কথাও যেন ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য বাড়ি থেকে খাবার আসার পর খাবারের কথাস্মরণ হয় তার। ঝটপট মুখ হাত ধুয়ে খাবার খেয়ে আবার একই কাজ শুরু করেন এই কৃষকরা।

বলছি নারায়নগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার কিছু সবজি চাষি ও বিক্রেতাদের কথা ভোরের আলো ফুটার সাথে  সাথে কৃষক শাকসবজি পরিচর্যায় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। কিছু কৃষক ফসলি জমি থেকে শাক-সবজি উঠায়ে সবজি বিক্রিতার কাছে পাইকারি দামেবিক্রি করার ব্যাস্ততা। সবজি বিক্রিতা এগুলো সিদ্ধিরগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রয় করে থাকে।

সিদ্ধিরগঞ্জের কৃষকরা জমিতে উপযুক্ত করে লালশাক, পুঁইশাক, ধনেপাতা, পালংশাক, পাটশাক, কলমিশাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে থাকে। এ অন্চলের জমিতে মূলত অন্য ফসল আবাদ হয় না। বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি চাষ করেই চলেএখানকার কৃষকদের জীবন-জীবিকা। এসব শাক সবজি স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দূর-দূরান্তের বাজারে ফলেআয় হয় কিছু বাড়তি মুনাফা। এবার ফলন ভালো হওয়ায় খুশি এখানকার সবজি চাষিরা।

সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেক কৃষকই তার নিজের সবজি ক্ষেতের যত্নে ব্যস্ত সময় পারকরছেন  কিছু কৃষককে সবজি ক্ষেতে সার দিতে দেখা গেছে আবার কয়েকজনকে ক্ষেতে পানি দিতে দেখা গেছে। অনেকেই আবারসবজি চাষের জন্য মাটি প্রস্তুত করছেন। আরো দেখা গেছে নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে। তবে বেশিরভাগ কৃষকের পাটশাক চাষ করতে বেশি দেখা গেছে। তাদেরসঙ্গে কথা হলে জানা যায় এই সময়টায় পাটশাকের চাহিদা বেশি থাকে। তাই দাম ভালো পাওয়ার পাশাপাশি অধিক লাভবানহওয়ার সুযোগ থাকে। তবে বাকি সময়টায় এখানে লালশাক চাষাবাদ হয় বেশি।

কৃষক আসান মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় উনি এবার বেশ কয়েক বিঘা জমিতে লালশাক, পুঁইশাক, ধনেপাতা, পালংশাক,পাটশাক,কলমিশাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করেছেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে ফলন ভাল হবে বলে আশা রাখছেন।

ক্রেতা আঃ বারেক বলেন, আমি প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটার সাথে সাথে শাক-সবজি নিতে আসি এখানে কৃষকদের কাছথেকে তারা পাইকারি দামে আমার কাছে বিক্রি করে সে গুলো নিয়ে যাই ভ্যান গাড়ী করে হিরাঝিল এলাকায় সেখানে বিক্রি করেআমরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকি প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার।

Loading

error: Content is protected !!