এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তথ্য হালনাগাদ (ভেরিফাইড ডাটাবেজ প্রণয়ন কার্যক্রম) করার নামে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আব্দুল করিম (কিনু)। ইউপি সদস্য হলেন উপজেলার জোড়খালী গ্রামের মৃতঃ মমতাজ উদ্দিন এর ছেলে। সরকারিভাবে প্রতিজন সুবিধাভোগীর ভেরিফাইড ডাটাবেজ প্রণয়নের জন্য ১৫ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৫০৯জন অসহায় দরিদ্র মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। বছরে ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে সুবিধাভোগীরা ৩০ কেজি করে চাল পান। গত ১৩ জুন খাদ্য অধিদপ্তর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ডাটাবেজ প্রণয়নের জন্য স্ব স্ব দপ্তরে প্রতি সুবিধাভোগীদের অনলাইন বাবদ ১৫ টাকা করে ব্যয় ধরে চিঠি দেওয়া হয়। তবে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫৪৫জন সুবিধাভোগীর অনলাইন নিবন্ধন করা হয়েছে।
গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ সামাউন হাসান শিপন বলেন, সুবিধাভোগীদের ডাটাবেজ করতে আমি টাকা আদায় করছি না। তবে চেয়ারম্যান ও মেম্বররা কি করছেন তা আমি জানিনা।গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেম্বার মোঃ আব্দুল করিম কিনু বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। তারা শত্রুতামূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
গোসাইবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদুল হক বাচ্চু বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মোহন্ত সংবাদ কর্মীদের বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের অনলাইন ডাটাবেজ কাজের জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
বগুড়ায় স্টাডি কেয়ারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান আনুমানিক প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি
পীরগঞ্জে বিনামুল্যে সার-বীজ বিতরণ