হোম » সারাদেশ » কেন্দুয়ার মহিলা মেম্বারের ঋণ খেলাপীর তথ্য গোপনের অভিযোগ

কেন্দুয়ার মহিলা মেম্বারের ঋণ খেলাপীর তথ্য গোপনের অভিযোগ

রবিউল হাসান লায়ন:  ঋণ খেলাপীর তথ্য গোপনের দায়ে ফেঁসে যাচ্ছেন জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার শাহিদা বেগম। গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ক্যামেরা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয় শাহিদা বেগম।
জানা গেছে, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড জামালপুর শাখা থেকে গৃহীত ঋণের বিপরীতে ঋণ পরিশোধ না করায় বিনন্দেরপাড়া নিবাসী শাহিদা বেগম ও তার স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন তোতা ঋণ খেলাপী। শাহিদার স্বামী আনোয়ার হোসেন তোতা জামালপুর শহরের কথাকলি মার্কেটের মেসার্স কাকলী ফ্যাশনের মালিক। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসেবে ২০১৬ সালে অর্থঋণ আদালত জামালপুরে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড জামালপুর শাখা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১০/২০১৬ (মর্টগেজ) অর্থঋণ।
এদিকে বিজ্ঞ আদালত বাদীর পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য বাদী পক্ষ বিবাদীগণের বিপক্ষে একটি ডিক্রীজারি মামলা দায়ের করেন। অর্থঋণ ডিক্রীজারি মামলা নং ০৭/২০২১ অর্থ ডিং (২য়)। এদিকে বিজ্ঞ আদালত অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ৩৩ ধারা (১) উপধারার বিধান মোতাবেক গত ১০ নভেম্বর ৬নং আদেশ মূলে প্রথম নিলাম বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশের আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তিটি জাতীয় দৈনিক সমকাল ও স্থানীয় দৈনিক আজকের জামালপুর পত্রিকায় গত ১৯ নভেম্বর প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মূলে জানা যায়, ডিক্রীজারি মামলায় ডিক্রীদারের প্রাপ্য ১ মার্চ ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১শ ৬৩ টাকা এবং উক্ত টাকার উপর মূল মামলা দায়েরকাল থেকে আদায়কাল পর্যন্ত ডিক্রীতে উল্লেখিত শতকরা ১২% হারে ক্ষতিপূরণ ও মামলার খরচ আদায়ের নিমিত্তে দাইকগণের স্বত্ব দখলীয় এক একর আটাশ শতাংশ ভূমি ও তদস্থিত যাবতীয় স্থাপনাদি ও ভবিষ্যত নির্মানাদীসহ প্রকাশ্য  নিলামের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন্য ১৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে নিলামের দিন ধার্য্য করে আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে শর্তসাপেক্ষে সিলমোহরকৃত দরপত্র আহবান করা হয়। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ঋণ খেলাপীর তথ্য গোপন করেছেন। এতে একদিকে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ অন্যদিকে এলাকার ভোটারদের সাথেও প্রতারণা করেছেন।
উত্তরা ব্যাংক জামালপুর শাখার ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, শাহিদা বেগম ও তার স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন তোতার কাছে ব্যাংকের বর্তমানে পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ টাকার উপরে। তারা দুজনই ঋণ খেলাপী। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাচাই বাছাইয়ের সময় নির্বাচন অফিস থেকে খেলাপীর তালিকা না চাওয়ায় ব্যাংক থেকে তালিকা পাঠানো হয়নি।   জামালপুর জেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, ঋণ খেলাপীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য। ঋণ খেলাপী কেউ তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিদা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উত্তরা ব্যাংকে তার স্বামীর নামে ঋণ রয়েছে। ওই ঋণে তিনি গারেন্টেড। ব্যাংকে তার নামে থাকা জমি মর্টগেজ দেওয়া আছে।

Loading

error: Content is protected !!