হোম » সারাদেশ » আটুলিয়ায় ভূমি কর্মকর্তা ও সহযোগী দালালের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের তথ্যদাতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মামলার হুমকি।

আটুলিয়ায় ভূমি কর্মকর্তা ও সহযোগী দালালের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের তথ্যদাতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মামলার হুমকি।

মারুফ বিল্লাহ রুবেল: আটুলিয়া ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের দুনীর্তির রিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় রাত ৮টায় দুই দফায় সংবাদ সংগ্রহে ক্যামেরার সামনে বক্তব্য প্রদানকারী এক ব্যবসায়ী এবং তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে। মারার হুমকি, ভয়ভিতী সহ মানহানীর অভিযোগ উঠেছে।
এসময় নায়েব আশরাফুজ্জামানের নির্দেশে ভূমি অফিসের প্রথম শ্রেনীর দালাল মিজানুর মাষ্টার, আটুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জি, এম. সিরাজুল ইসলামের যোগসাজশে। বাড়ি থেকে তুলে এনে প্রথমে আটুলিয়া ভূমি অফিসে নিয়ে জায়।  পরবর্তীতে হুমকী ধামকী আর ভয় ভিতি দেখিয়ে ভূমি অফিসের একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এর পরে নায়েবের ঘুষ বাজিজ্যের বিরুদ্ধে বাজারের ব্যাবসায়ী হিসেবে বক্তব্য রাখায়। মানহানির মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিবে বলে।
রীতিমত ভয় ভিতি প্রদর্শন করতে থাকে মিজানুর দালাল। শুধু এতেই খ্যান্ত হয়নি তারা, ভূমি অফিসের সহায়কের লেবাসধারী আরেক দালাল মুশফিকুর রহমান জোর করে প্রকাশিত সংবাদের ক্যামেরার সামনে বক্তব্য প্রদানকারীর কাছ থেকে। নায়েব তাদের মন গড়া বক্তব্য নিয়ে ভিডিও ধারন করে।
এছাড়া নায়েবের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায়।অবৈধ দখলকারিদের সাথে নিয়ে ভূমি অফিসে বসিয়ে মোবাইলে হুমকি প্রদান করে।নাইম নামের এক ছেলেকে দিয়ে হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়া নাইম জানান, নায়েব আমার পাশে বসিয়ে হুমকি দিতে বলছিল। সাধারন জনগনের সেবা নিতে আসা এমন জনগুরুত্বপূর্ণ ভূমি অফিস এখন আর ভূমি অফিস নেই? নায়েব আশরাফুজ্জামান তার কুকীর্তি ঢাকার জন্য ভূমি অফিসকে একটা টরচার সেল এবং বিচারশালায় রুপান্তরিত করে রেখেছেও বটে।
 তবে এবারে তার প্লান একেবার রসাতলে গেলো, কারন ভূমি অফিসে আটকিয়ে রাখার খবর টা এলাকাবাসী সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জেনে গেছে। পরে সার্বিক পরিবেশ ও মতিগতি খারাপ দেখে আফিস থেকে দ্রুত চম্পট দেয় নায়েব আশরাফুজ্জামান।  ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম তুলে নিয়ে যাওর বিষয় স্বীকার  করে বলেন, নায়েব আমাকে ডেকে নিয়ে যেতে বলছিল তাই তাদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলাম।নায়েব তাদেরকে মামলার ভয় দেখায় ছিল।
মুশফিকুর রহিম ও মিজানুর রহমান বিষয়টা অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।আমাদের সাথে তাদের কোন কথা হয়নি নায়েবের সাথে কথা হয়েছে। ভূমি কর্মকর্তা আসরাফুজ্জানের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার ফোন দেওয়া হল তার ফোনটা কেটে দেন। বিষয়টা শ্যামনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: শহিদুল্লাহকে জানানো হলে তিনি বলেন,নায়েবের এত সাহস হয় নাকি।বিষয় টা আমি দেখছি।

Loading

error: Content is protected !!