হোম » সারাদেশ » তখনকার সময় গরু দিয়ে হালচাষ ছিল কৃষকের আশির্বাদ স্বরুপ

তখনকার সময় গরু দিয়ে হালচাষ ছিল কৃষকের আশির্বাদ স্বরুপ

মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থেকে কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে পুরাতন ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ।এক সময় জমিতে হালচাষ করার জন্য সাতদিন আগে সিরিয়াল দিতে হতো গরু অথবা মহিষের ঘারে জোঁয়াল ও লাঙ্গল দিয়ে জমিতে হালচাষ করার জন্য। কারন এটিই ছিল তখনকার কৃষকের একমাত্র ভরসা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার পুরাতন ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ। এক সময় দেখা যেতো ফজর নামায পড়েই কৃষকরা গরু ও লাঙ্গল জোঁয়াল কাঁধে নিয়ে বেড়িয়ে পরতো মাঠে কৃষকের জমি হালচাষ করতে। বর্তমানে প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিস্কারের ফলে কৃষকদের জন্য এসেছে ইন্ঝিনচালিত   নিত্য নতুন ট্র্যাক্টর ও  পাওয়ার টিলার।

এক সময় উপজেলার অধিকাংশ কৃষকের বাড়িতেই দেখা যেতো বাঁশের তৈরি লাঙ্গল, জোঁয়াল, মই, গরুর মুখে লাগানো টোনা ও হালচাষ করার মতো একজোড়া বলদ গরু। হঠাৎ চোখে পড়ে উপজেলার হাটপাঙ্গাসী সরকারপাড়া গ্রামের মোঃ মন্জুরুল আলম পান্নার বাড়ির দখ্যিনে একজোড়া বলদ গরু দিয়ে হালচাষ করার দৃস্য। প্রবীন এই কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় সেকালের নানা রকম তথ্য। তিনি বলেন, এখনকার মতো দিন আগে ছিল না।  এখন নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে, সেই মিশিন দিয়ে এখনকার কৃষকেরা জমি চাষাবাদ করছেন। তাই গরু দিয়ে হালচাষ দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। আমার বাপ-দাদাদের রেখে যাওয়া পুরাতন ঐতিহ্যকে এখনো ধরে রেখেছি নিজের কাজের জন্য। এমনকি কেউ হালচাষের জন্য ডাকলে সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় অন্যের জমি চাষ করার জন্য। আর তাছাড়া বলতে পারেন, গরু – মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল ছিল তখনকার কৃষকের আশির্বাদ স্বরুপ।

error: Content is protected !!