হোম » সারাদেশ » বাসাইলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

বাসাইলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

অর্ণব আল আমিন,বাসাইল,টাঙ্গাইলঃ দিগন্ত মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ।পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে সুন্দর এক হলুদের চাঁদরে।উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ঢেউ খেলে সরিষার ফুল। মৌমাছিরাও মধু আহরণ করতে ছোট আসে। মৌমাছির গুনগুন শব্দ মুখরিত হয় সরিষার মাঠ।মৌমাছির সাথে যেনো সরিষা ফুলের গভীর মিতালী।এ যেনো সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। তাই এই সুযোগে মধু চাষীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরিষার ক্ষেতে থেকে মধু সংগ্রহ করতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বাসাইলে ৫ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এবছর সরিষার জমিতে প্রায় ১ হাজার ৯০০ টি মৌবাক্স স্থাপন করেছেন মৌচাষিরা। এপর্যন্ত ১২হাজার ২৫০ কেজি মধু আহরণ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ফসলের জমির পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌচাষিরা। ওই সব বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে।

সাতক্ষীরা থেকে আসা মৌচাষি প্রভাস মন্ডল জানান,আমি এবছর ২৩০টি মৌবাক্স স্থাপন করেছি। প্রতি সপ্তাহে ৬-৭ মণ মধু আহরণ হচ্ছে।এবছর মধুর দামটাও ভালো পাচ্ছি। আমরা ৫জনে মিলে মৌবাক্স স্থাপন করেছি। প্রতি কেজি মধু ৪০০-৫০০ টাকা করে বিক্রি করছি। পাবনা থেকে আসা মৌচাষি মিজানুর রহমান জানান, সরিষার ফুল যখন ফুটে তখন আমরা মধু আহরণ করতে চলে আসি। এবছর মধু ভালোই হচ্ছে।প্রতি সপ্তাহে ৫-৬ মণ মধু হচ্ছে। আমি দুই বছর ধরে মধু সংগ্রহ করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনিন আক্তার  জানান, টাঙ্গাইলের বাসাইলে  ৬টি ইউনিয়নে এবছর ৫  হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। সরিষার জমিতে ১ হাজার ৯০০ টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এপর্যন্ত ১২ হাজার ৫০০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,সরিষার জমিতে মৌবাক্স স্থাপন করলে সরিষার ফলন ভালো হয়।মৌমাছির পরাগায়ণের ফলে  প্রায় ২০ শতাংশ ফলন বেশি হয়ে থাকে।যে জমিতে মৌমাছির পরাগায়ণ হয় সেই জমিতে সরিষার ভালো ফলন হয়।

error: Content is protected !!