এম.এ রাশেদ: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সুমাইয়া খাতুন নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গালায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সুমাইয়া উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের মনছের ফকিরের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে শাহাদত হোসেন নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। শাহাদত দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আব্দুস সালাম। শাহাদত সুমাইয়াকে বিয়ের পর থেকেই ঘরজামাই থাকতেন। তিনি দিনমজুরের (রডমিস্ত্রি) কাজ করেন। বর্তমানে কাজের সুবাদে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।
তারা আরো জানান, মঙ্গলবার সকালে সুমাইয়ার মা বাড়ির বাহিরে সাংসারিক কাজ করছিলেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন সুমাইয়ার ঘরের দরজা বন্ধ। তিনি অনেক ডাকাডাকি করেও তার (সুমাইয়া) সাড়া পাওয়া পাচ্ছিলেন না। সন্দেহ হলে ঘরের বাহিরের জানালা ফাঁক দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করেন। ওই সময় তিনি দেখেন ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুঁলছেন সুমাইয়া। এই অবস্থা দেখে তিনি চিৎকার করে আশপাশের মানুষদের ডাক দেন। পরে সবাই মিলে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাবার বাড়িতে থাকার কারণে পারিবারিক কলহের জেরে সুমাইয়া আত্মহত্যা করতে পারেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
জীবনের ঝুৃঁকি নিয়ে ভাঙা কাঠের পুল দিয়ে পার হচ্ছে মোরেলগঞ্জের ৩ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ
পোরশায় অটোরিক্সার ধাক্কায় শিশু নিহত
জামালপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রীরা