হোম » সারাদেশ » শিক্ষক যোগদানের ঘটনায় অসন্তোষ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেনা অভিভাবকরা

শিক্ষক যোগদানের ঘটনায় অসন্তোষ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেনা অভিভাবকরা

মোঃনাজমুল ইসলাম সবুজ: বাগেরহাটের শরণখোলায় নতুন প্রধান শিক্ষক যোগদানের ঘটনায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেনা ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। রবিবার (২৮ জানুয়ারী) উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ৭নং রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ২১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩য় শ্রেনীর একজন, ৪র্থ শ্রেনীর একজন ও ৫ম শ্রেনীর চারজন সহ মোট ছয় জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাকে অন্যত্র বদলী করা নাহলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১১০নং নলবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন নাহার সম্প্রতি ৭নং রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ জানুয়ারী যোগদান করতে আসলে বিদ্যালয়ের গেট তালাবদ্ধ দেখতে পান ওই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিকাল ৪টার পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি। ২৮ জানুয়ারী রবিবার সকালে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন নাহার বিদ্যালয়ে আসেন কিন্তু ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসতে দেননি। যার ফলে ২১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

অভিভাবক মোঃ মিলন ফরাজী, আব্বাস আলী গাজী জানান, পুর্বের বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে নাসরিন নাহার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে খারাপ দুর্ব্যবহার সহ অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। এতে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবক সহ স্থানীয়দের রোষানলের স্বীকার হন। পরে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করলে আমরা শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছি। তাকে অন্যত্র বদলী করা নাহলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেননা বলে অনেক অভিভাবকরা জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন নাহার জানান, এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। একটি পক্ষ তার সুন্নাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নান্না মিয়া জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও দ্রুত সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, সরকারী নিয়মানুযায়ী তিনি যোগদান করেছেন। স্থানীয় প্রধান শিক্ষক ছাড়া কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা বিধায় তাকে ওই বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুর্বের বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন কিছু অনিয়মের কথা শোনা যায় তাই অভিভাবকরা একারনে ক্ষুব্ধ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম শামীম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। পূর্বের প্রতিষ্ঠানে কিছু অনিয়মের জন্য বর্তমান যোগদানকৃত প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান

error: Content is protected !!