হোম » অন্যান্য বিভাগ » চন্দনাইশে নির্বাচনী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পৃথক পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চন্দনাইশে নির্বাচনী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পৃথক পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মো. শহীদুল ইসলাম: চট্টগ্রাম-১৪ আসনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হামলার স্বীকার ও নৌকার সমর্থকদের পৃথক পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৬ জানুয়ারি বাদে জুমা এলাকাবসীর উদ্যোগে চন্দনাইশের বুলার তালুক ও দোহাজারী পৌর এলাকায় কাউন্সিলর আবু তৈয়বের সমর্থনে চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক স্থানীয় একটি মসজিদের সামনে ও দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পৃথক পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্যানেল মেয়র-১ আবু তৈয়ব আলীর বড় ভাই মো. আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আলোচনায় অংশ নেন, ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ, মো. সুমন, ফোরকান উদ্দীন, আদু মিয়া, মো. আজম, সাব্বির আহমদ, মো. ইসমাঈল সওদাগর, মো. আসিফ, মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমদ, মেহেদী হাসান, আবদুল করিম, আসমা বেগম প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চন্দনাইশ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর আবু তৈয়ব নৌকার পক্ষে কাজ করেন এবং নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা ঈর্শ্বানিত হয়ে কে বা কারা বুলার তালুক এলাকায় রফিক সওদাগরের বাড়ীসহ বেশ কয়েকটি ঘর—ভাংচুর করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়টিকে মিথ্যাভাবে রূপ দিতে গিয়ে তারা কিছু ভাড়া করা লোক দিয়ে লোক দেখানো মানববন্ধন করে। এ ব্যাপারে তারা এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের সু—দৃষ্টি কামনা করেছেন।
অপরদিকে হামলার স্বীকার ও নৌকার সমর্থকরা পৃথক পৃথক মানববন্ধনের আয়োজন করে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ও বুলার মসজিদ এলাকায় পৃথক পৃথক জাতীয় নির্বাচনে হামলার স্বীকারকারীদের সাথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চন্দনাইশ শাখা ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ওসমান গণি। আলোচনায় অংশ নেন, মিজানুর রহমান তুহিন, আবদুল জলিল, আল করিম, আবু জাফর, নোমান গণি, আবদুল হাকিম, বাচা মিয়া সওদাগর, সোলায়মান সওদাগর, বকতিয়ার উদ্দীন, আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তাগণ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কমিশন তৈয়ব আলী বুলার তালুক এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট আহমদ নবী, মদিনা আ’লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা নেতা মো. মিজানুর রহমান তুহিন, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আবদুল জলিল, ব্যবসায়ী যথাক্রমে আবু জাফর, সিরাজুল ইসলাম, চালক নাসির উদ্দীন, মো. আদুসহ অনেক মানুষের ঘর—বাড়ি ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি সু—দৃষ্টি কামনা করেছেন। মানববন্ধন শেষে তারা চট্টগ্রাম—কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ সার্বক্ষণিক মানববন্ধনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তবে মানববন্ধন চলাকালীন বুলার তালুক এলাকার মানুষ ভীতস্ত ছিল। এলাকায় টান—টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী মানববন্ধনে সংবাদ সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
error: Content is protected !!