হোম » শিক্ষা » মোরেলগঞ্জে ফজলুল করিম দাখিল মাদ্রাসা ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জনই ফেল..

মোরেলগঞ্জে ফজলুল করিম দাখিল মাদ্রাসা ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জনই ফেল..

মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) থেকে,মোঃ এখলাস শেখঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ফুলহাতা ফজলুল করিম দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মাত্র ১ জন দেখেছে পাশের মুখ।

মোরেলগঞ্জের অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন বিপর্যয় না হলেও গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা-২০২৩ এর ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফুলহাতা ফজলুল করিম দাখিল মাদ্রাসায় মাত্র ১ জন পাশ করেছে, বাকি ২০ জন পাশের মুখ দেখে নি। এই ২০ জন পরীক্ষার্থীকে পাঠদান করিয়েছে ১৫ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মাদ্রাসায় এবার এসএসসি রেজাল্টের কি কারণে বেহাল দশা সেটায় তারা অবগত না, তারা তাদের সন্তানের সঠিক শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে চিন্তিত।

প্রতিষ্ঠান প্রধান মোঃ হান্নান বলেন, কি কারণে এমন রেজাল্ট হলো সেটা বুঝতে পারছি না। তবে, আমি বোর্ডে যাবো রেজাল্ট সংক্রান্ত কোন ভুল হয়েছে কিনা।

এদিকে সালেহিয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় ৩০ জনের মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১০ জন, কে এম বৌলপুর ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসায় ৩৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৪ জন, ডি কে এম ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫ জন, দারুল কোরআন ফজলুল করিম দাখিল মাদ্রাসায় ৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৭ জন।

এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদ হাসান বলেন, বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১৬ জন শিক্ষক কিভাবে ২০ জন শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে পাঠদান করাতে ব্যর্থ হলো, তবে এই ফলাফলের বিষয়টা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অবগত, কি কারণে এমন অবস্থা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোরেলগঞ্জে কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষার মানের বেহাল দশা সম্পর্কে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, কি কারনে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৈন্যদশা তা খতিয়ে দেখা হবে। পরীক্ষার ফলাফল এমন হয় তাহলে তাদের এমপিও বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি তাদের বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।

error: Content is protected !!