হোম » প্রধান সংবাদ » প্রভাবশালীর বাঁধা উল্লাপাড়া জায়গা কিনেও দখলে যেতে পারছে না দুলাল হোসেন

প্রভাবশালীর বাঁধা উল্লাপাড়া জায়গা কিনেও দখলে যেতে পারছে না দুলাল হোসেন

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জায়গা ক্রয় করেও দেড় বছর যাবৎ দখলে যেতে পারছে না উল্লাপাড়ার রামকান্তপুর গ্রামের দুলাল হোসেন, আশরাফ হোসেন, ছানোয়ার প্রাং ও মুকুল প্রাং। ১৯৮২ সালে জমির মূল মালিক আফজল সরকার তার ৮ মেয়ের নামে রামকান্তপুর মৌজার আরএস ৩০৭৭ ও ৩০৭৮ নং দাগের ১০ শতক জমি দানপত্র দলিল মূলে লিখে দেন। উক্ত দলিল মূলে আফজাল হোসেনের মেয়েদের নিকট থেকে এবং ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মোঃ শামীম হোসেনের নিকট

থেকে ২০১৯ সালে বিক্রয় কবলা দলিল মূলে দুলাল হোসেন, আশরাফ হোসেন, ছানোয়ার প্রাং ও মুকুল প্রাং কিনে নেন। তারা ক্রয় করে উল্লিখিত জায়গা নিজেদের নামে নামজারী করে নিয়েছে। এই একই জমি প্রতিবেশী প্রভাশালী আব্দুর রশিদের ছেলে রমজান আলী ও সুমন হোসেন ১৯৯৬ সালে আফজল হোসেনের নিকট থেকে ক্রয় দেখিয়ে উল্লিখিত জমির মালিকানা দাবি করছে। কিন্তু আফজল হোসেন ১৯৮২ সালে উল্লিখিত দাগের জমি তার ৮ মেয়ের নামে লিখে দেয়। ২০২০ সালে ভুক্তভোগী মুকুল প্রামানিকের উল্লিখিত

জায়গায় একটি ঘর ছিল। ঘরটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে। পরে সেখানে নতুন ঘর নিমার্ণ করতে গেলে রমজান ও সুমন লোকজন নিয়ে নিজের জায়গা দাবি করে সেখানে ঘর তুলতে বাঁধা প্রদান করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হয়।দুলাল হোসেন জানান, রোববার (২ মে) সকালে তাদের ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর তুলতে গেলে রমজান হোসেন ও সুমন হোসেন লাঠিসোঠা নিয়ে বাঁধা প্রদান করেন। তাদের ক্রয়কৃত জমি রমজান ও সুমন অবৈধভাবে নিজেদের দাবি করে হয়রানি করে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা গ্রাম্য সালিস হলেও কোন কাজ হয়নি। এর আগেও ঘর তুলতে গেলে রমজান গং বাঁধা দিয়েছিলেন। বর্তমানে তাদের বাড়িতে থাকার মতো কোন ঘর নেই। ঝড় বৃষ্টির দিন হওয়ায় পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে তাদেরকে। এ বিষয়ে আফজল হোসেনের মেয়ে আরিফা হক অভিযোগ করেন, রমজান ও সুমন যে দলিল মূলে উল্লিখিত জমি দাবি করছেন সেই দলিলের স্বাক্ষর তাদের পিতার নয় বলে জানান। তিনি আরো জানান, তাদের জমি দুলাল গংদের নিকট বিক্রি করেছেন। রমজান আলী যে দলিল মূলে উল্লিখিত জায়গা দাবি করছেন সেটা জাল দলিল বলে উল্লেখ করেন আরিফা হক।

এ ব্যাপারে রমজান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জমিটি তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। তিনি উল্লিখিত জমি ক্রয়কৃত বলে দাবি করছেন। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার এএসআই হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার জন্য থানায় বৈঠক হয়। উভয়পক্ষের কাগজপত্র পযার্লোচনা করে দুলাল হোসেন গংদের জায়গা বলে প্রতিয়মান হয়। বিষয়টি রমজান ও সুমন মেনে নেয়নি। পরবর্তী রমজান ও সুমন দুলাল গংদেরকে মারধর করে।

error: Content is protected !!